সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ছয় হাজার টন মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। টিসিবি সাশ্রয়ী দামে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে এই ডাল বিক্রি করবে। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রপদ্ধতিতে কাজ পেয়েছে বগুড়ার রায় অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাহেদা পারভীন জানান, ৫০ কেজির বস্তায় কেনা হবে ৬ হাজার টন মসুর ডাল। প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০০ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের দর ১০১ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে তা একটু কম।
এদিকে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির একটি প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়। এই এলএনজি কেনা হবে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে। ৬০১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা খরচ হবে এতে। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১২ দশমিক ৯৭ মার্কিন ডলার, যা আগের দর ১০ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার থেকে বেশি।
এদিকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কাতার, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ টন সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার। কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রো কেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনাজাত), ওসিপি এস এ মরক্কো এবং সৌদি আরবের মা’আদেনের কাছ থেকে কেনা হবে তিন ধরনের সার।
এ ছাড়া রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জন্য ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় ১৫৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ তলা ভবন নির্মাণের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পেয়েছে দ্য ইউনাইটেড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড বা ইউসিসিএল।