যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ বা শেয়ারবাজার ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ধনবান। তবে সম্প্রতি সেই অবস্থান হারিয়েছে দেশটি। অর্থনৈতিক মন্দা যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে শেয়ারবাজারের কার্যক্রমেও দেশটির অবস্থান দুর্বল হয়েছে। খবর বিবিসির
এদিকে যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান শেয়ারবাজারের অবস্থানে চলে গেছে প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্স। দেশটির কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য বেড়েছে। বিশেষ করে ফরাসি বিলাসদ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এই খাতের কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে ভালো করেছে।
২০০৩ সালের পর এই প্রথম লন্ডনকে ছাড়িয়ে গেছে ফ্রান্স। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার (ব্রেক্সিট) পর থেকেই যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি টালমাটাল। সেই পালে আরও হাওয়া লাগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাজ্য এই বছর মন্দার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে জন্য শেয়ারবাজারও অস্থির।
বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের সম্মিলিত মূল্য প্রায় ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ কোটি (২ দশমিক ৮২১ ট্রিলিয়ন) মার্কিন ডলার। সেখানে ফ্রান্সের শেয়ারবাজারের সম্মিলিত শেয়ারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৮২ হাজার কোটি ডলার (২ দশমিক ৮২৩ ট্রিলিয়ন)।
যুক্তরাজ্যের মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিশেষভাবে খারাপ অবস্থায় পড়েছে। কারণ, ভোক্তারা ব্যয় কমিয়েছেন। অন্যদিকে এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উচ্চ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়েছে। লন্ডনের মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোর এফটিএসই ২৫০ সূচক গত এক বছরে প্রায় ১৭ শতাংশ কমেছে।