ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, দেশে পাট চাষে এখন নিম্নমানের বীজ ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ধরনের নানা দুর্বলতার কারণে দেশ পাটের বাজার হারিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পাট খাতের টেকসই উন্নয়নে বিদ্যমান দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, পাট খাতের সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে সরকারি–বেসরকারি উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সংগঠনটির পাট ও পাটপণ্য–বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহবুবুল আলম।
সভায় খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেন, অগ্রিম আয়কর (এআইটি), উৎসে কর কর্তন (টিডিএস), ভর্তুকির ওপর কর, কাঁচা পাটের উচ্চমূল্য, ব্যাংকঋণের চাপসহ প্রভৃতি কারণে বর্তমানে কারখানা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং খাতটির টেকসই উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এফবিসিসিআইর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাটশিল্পের চাহিদা রয়েছে। তবে দেশে পাট খাতের টেকসই উন্নয়ন করতে হলে দেশীয় পাটশিল্পকে আরও বেশি ব্যবহারোপযোগী করতে হবে। না হলে এর বাজার ধীরে ধীরে কমে আসবে।
এফবিসিসিআইর পাট ও পাটপণ্যবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কো–চেয়ারম্যান ও জেম জুট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, সামনের দিনগুলোতে পাটশিল্পের সুদিনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা বলেন, দেশে পাট খাতে যন্ত্রপাতি চালানোর মতো দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ–বিভ্রাট ঘটছে, ফলে ডিজেল কিনে কারখানা চালাতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।