‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমার’ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সে জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিমা কোম্পানিকে দিতে হবে বছরে ৮৫ টাকা।
দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমার’ আওতায় আনতে চায় সংস্থাটি। উদ্যোগ বাস্তবায়নে গত সোমবার দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা পরিকল্পটির উদ্দেশ্য হলো দেশের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা; ৩ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীর মা-বাবা বা আইনগত অভিভাবক এ বিমার আওতায় আসতে পারবেন।
বছরে ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে এ বিমার আওতায় আসা যাবে। পলিসি চালু থাকা অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি দেওয়া হবে। এ বৃত্তি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পৃক্ত থাকে জেলা প্রশাসন বা তার অধীন কার্যালয়গুলো। জেলা প্রশাসকেরা উদ্যোগ নিলে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের এ শিক্ষা বিমার আওতায় আনা সহজ হবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় অভিভাবকের অবর্তমানে বা অক্ষমতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হবে না। চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বেসরকারি জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে এই বিমা পলিসির আওতায় এসেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। আরও জানানো হয়, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের এ পলিসির আওতায় আনা হয়েছে, যার সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।
চিঠিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পরিকল্পটি উদ্বোধন করেন। আইডিআরএর তত্ত্বাবধানে এ বিমা পরিকল্পটি জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে দুই বছরের জন্য সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়; ২০২৩ সালে তা উন্মুক্ত করা হয়। বর্তমানে সব জীবনবিমা কোম্পানির মাধ্যমেই এ পলিসির আওতায় আসা সম্ভব।