সাভারে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীতে নতুন করে আরও তিনটি পরিবেশবান্ধব কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার বা সিইটিপি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যমান সিইটিপির সংস্কার ও উন্নয়নের কাজও চলছে বলে জানান শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে সাভারের ট্যানারিগুলো চামড়া খাতের আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ পাবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিও আশানুরূপ হারে বাড়বে।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রি: চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়নে অংশীজনের ভূমিকা’ বিষয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পসচিব।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, কামরুন নাহার সিদ্দীকা, মো. শামীমুল হক প্রমুখ।
কর্মশালায় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, শুধু নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চামড়াশিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিবিড় তত্ত্বাবধানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
মূল প্রবন্ধে সাবেক শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, পরিবেশবান্ধব ও প্রতিযোগিতামূলক চামড়াশিল্প খাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ২০১৯ সালে নীতিমালা করেছে। তবে নানা কারণে এই খাত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি। এখন নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকসের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।