পূর্বাচল মেরিন সিটি: এক আধুনিক আবাসন

রাজধানীতে স্থায়ী আবাসন নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। কোথায় কিনবেন, কেমন হবে সেই জায়গা—এমন ভাবনায় যাঁরা আছেন, তাঁদের জন্য রয়েছে ‘পূর্বাচল মেরিন সিটি’। এটি একটি মডেল স্যাটেলাইট আবাসন প্রকল্প। প্রকল্পটি স্থানীয় এবং অনাবাসী বাংলাদেশিদের আকর্ষণীয় আবাসিক প্লট দেওয়ার কাজে নিযুক্ত। প্রকল্পটির অগ্রযাত্রা দেশজুড়ে সমাদৃত। দিন দিন মানুষের তাই আগ্রহ বাড়ছে পূর্বাচল মেরিন সিটিতে।

প্রকল্পটির মাধ্যমে মানুষ পাবে জীবনযাত্রার উন্নত আবাসিক পরিবেশ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দক্ষ এবং যোগ্য নগর ডিজাইনার, নগর পরিকল্পনাকারী, স্থপতি ও প্রকৌশলীদের একটি দল ডিজাইন করেছে প্রকল্পটি। সফল এই প্রকল্প নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, রাজউকের পূর্বাচল মেগা টাউন–সংলগ্ন। ‘পূর্বাচল মেরিন সিটি’ বর্তমানে মেরিনার্সদের নিজেদের আবাসনের চাহিদা পূরণ করছে। সেই সঙ্গে সাধারণ নাগরিক যেন সবুজের ছোঁয়ায় শান্তির আবাসনে নিবাস গড়তে পারে, সেই ব্যবস্থা রেখেছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

· রাজধানীর আশপাশে নগরবাসীর আবাসনের সুযোগ তৈরি করে ঢাকা শহরের জনসংখ্যার চাপ হ্রাস করা।

· যথাযথ নগরায়ণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা।

· পরিবেশবান্ধব আবসান এবং টেকসই পরিবেশ তৈরি করা।

· আশপাশের অঞ্চলে নগরায়ণের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা প্রসারিত করা।

· নতুন জনপদের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সুযোগ–সুবিধা সম্প্রসারণ করা।

· ভবিষ্যতের আবাসন চাহিদার সমস্যা কমিয়ে আনা।

প্রকল্পটির আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য

রেডি প্লট: এখানে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি জন্য আপনি পাচ্ছেন রেডি প্লট। প্রতিটি প্লট পানি, বিদ্যুৎ সুবিধাসহ তাৎক্ষণিক বাড়ি তৈরির উপযোগী।

রাজউক পূর্বাচল মেগা টাউন এবং জিন্দাপার্ক–সংলগ্ন: প্রকল্পটি রাজউক–সংলগ্ন পূর্বাচল মেগা টাউনের ২১, ২২ ও ৩০নং সেক্টরের মাঝামাঝি অবস্থিত। তাই দূরত্ব নিয়ে নেই দুশ্চিন্তা। প্রকল্পটির পাশেই রয়েছে নয়নাভিরাম জিন্দা ইকোপার্ক।

রাস্তা এবং লাল শক্ত মাটি: যেকোনো জায়গায় আবাসনের ক্ষেত্রে প্রথমে খেয়াল রাখতে হয় সেখানকার রাস্তাঘাটের দিকে। যোগাযোগব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে উন্নত আবাসনের বিষয়টি। এখানে থাকছে ২৫, ৩০, ৪০, ৬০ এবং ১০০ ফুট প্রশস্ত সড়কের সুবিধা। সেই সঙ্গে প্রকল্পটি লাল ও শক্ত মাটি দ্বারা আচ্ছাদিত, তাই পাইলিংয়ে কোনো দরকার নেই।

নাগরিক জীবনের সব সুযোগ-সুবিধা

‘পূর্বাচল মেরিন সিটি’ আবাসনে থাকবে নাগরিক জীবনের সব সুযোগ-সুবিধা। প্রকল্পজুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত মসজিদ এবং কবরস্থানের জন্য চিহ্নিত স্থান। থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং খেলার মাঠ। বিশ্বব্যাপী নামকরা হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালও থাকবে। লিফট, এসকেলেটর, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম এবং প্রতিটি ব্লকের জন্য পৃথক গাড়ি পার্কিংসহ থাকবে অত্যাধুনিক সুবিধাসংবলিত মাল্টিস্টোরাইজ শপিং মল। আরও থাকবে লেক, আধুনিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত চিলড্রেনস পার্ক, স্বাস্থ্য, বিনোদনসহ আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার। থাকবে লেডিজ ক্লাব, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্য ক্লাব, জিম, থিয়েটার হল, বিনোদনমূলক উদ্যান ও সুইমিং পুল। প্রতিটি প্লটে থাকবে স্বতন্ত্র গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও নিষ্কাশনকারী সুবিধা। সিসিটিভি এবং প্রকল্পের সব মূল পয়েন্টসহ আউটস্ট্যান্ডিং রোড নেটওয়ার্কের সাহায্যে রাউন্ড দ্য ক্লক ফুল প্রুফ সুরক্ষাব্যবস্থাও রাখা হবে প্রকল্পটিতে।