হোসিয়ারি শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছয় বছরের ব্যবধানে আড়াই গুণের বেশি বেড়েছে। এতে জেলা ও অন্যান্য এলাকার কারখানার শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৪ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১২ হাজার ৮০ টাকা হয়েছে। আর বিভাগীয় শহরের কারখানা শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৪ হাজার ৮০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৮০০ টাকা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত মাসে হোসিয়ারি শিল্পের শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরিকাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এই শিল্পের জন্য মজুরিকাঠামো পুনর্নির্ধারণ হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সহকারী বডি মেশিনম্যান ও সহকারী ক্যালেন্ডারম্যানসহ বিভিন্ন পদের অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ৩ নম্বর গ্রেডের মোট মজুরি ১২ হাজার ৮০ টাকা বা ১২ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে মূল বেতন ৭ হাজার ২০০ টাকা। বাড়িভাড়া ২ হাজার ৮৮০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ২০০ এবং যাতায়াত ভাতা ৮০০ টাকা। একই হারে কর্মচারীদের মজুরিও বাড়বে।
অদক্ষ শ্রমিকের জন্য ৩ নম্বর গ্রেড হলেও শিক্ষানবিশ শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা। শ্রমিকের শিক্ষানবিশকাল হবে তিন মাস। তবে মালিকপক্ষ চাইলে শিক্ষানবিশকাল আরও তিন মাস বাড়াতে পারবে। অন্যদিকে শিক্ষানবিশ কর্মচারীদের জন্য শিক্ষানবিশকাল হচ্ছে ছয় মাস।
জুনিয়র বডি মেশিনম্যানসহ বিভিন্ন পদের আধা দক্ষ শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ২ নম্বর গ্রেডের মোট মজুরি বিভাগীয় শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫ হাজার ২০০ টাকা। আর জেলা শহর ও অন্যান্য এলাকার কারখানার ক্ষেত্রে মোট মজুরি হবে ১৪ হাজার ৩২০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৮ হাজার ৮০০ টাকা, বাড়িভাড়া ৩ হাজার ৫২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৪০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ২০০ এবং যাতায়াত ভাতা ৮০০ টাকা।
এ ছাড়া সিনিয়র বডি মেশিনম্যান, সিনিয়র ফিডার, সিনিয়র কাটিংম্যানসহ দক্ষ শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ১ নম্বর গ্রেডের মোট মজুরি বিভাগীয় শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০ হাজার ৭৫০ টাকা। জেলা শহর ও অন্যান্য এলাকায় এই গ্রেডের শ্রমিকদের মোট মজুরি হবে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা। বাড়িভাড়া ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার ২৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ২০০ এবং যাতায়াত ভাতা ৮০০ টাকা।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চূড়ান্ত হওয়া মজুরি সমন্বয়ের পর এক বছর কর্মরত থাকার পর শ্রমিক ও কর্মচারীদের মূল মজুরি ৫ শতাংশ হারে বাড়বে। এর পরের বছরগুলোতে বর্ধিত মূল মজুরির ওপর ৫ শতাংশ হারে বাড়তে থাকবে।