ফল, শাকসবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। প্রয়োজনীয়সংখ্যক এয়ার-কার্গো চালু ও বিমানের ভাড়া ‘যৌক্তিক’ পর্যায়ে রাখার দাবি করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া পচনশীল কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য প্রয়োজনে বিশেষ কার্গো–ব্যবস্থা চালুর পক্ষেও মত দিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে ‘ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল’–বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা এসব প্রস্তাব দেন। কমিটির চেয়ারম্যান ও মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনসুর সভায় সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডলার–সংকট, বাড়তি বিমানভাড়া, কাস্টমস ও এইচএস কোড–সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাড়ছে ব্যবসা পরিচালনার খরচ। পণ্য আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে এফবিসিসিআই ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করেছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় ফল, শাকসবজি আমদানি-রপ্তানিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও করণীয় নির্ধারণে কমিটির সদস্যদের কাছে মতামত আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ফল–শাকসবজিসহ কৃষিপণ্য রপ্তাতিতে শতভাগ স্থানীয় মূল্য সংযোজন হয়। সুতরাং এসব পণ্যের রপ্তানি বিঘ্নিত করা যাবে না। রপ্তানি বাড়াতে বিমানভাড়া, কার্গোপ্রাপ্তি, কাস্টমসসহ—সব ধরনের বাধা দূর করতে হবে। পাশাপাশি উপযুক্ত নীতিমালা ও নির্ভুল তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।
সভার উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ফল ও শাকসবজি রপ্তানির জটিলতা দূর করতে বিমানবন্দরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনসহ কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ জানান কমিটির সদস্যরা।
এ ছাড়া আধুনিক ওয়্যারহাউজ স্থাপন, উন্নত পরিবহন ও সরবরাহব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পচনশীল পণ্যের জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ ওয়্যারহাউজ স্থাপন, কৃষিপণ্যের জাত ও গুণগত মানোন্নয়ন, চাষপরবর্তী ব্যবস্থাপনা উন্নত করা এবং প্যাকেজিংয়ের মতো বিষয়ে কৃষক, রপ্তানিকারকসহ অন্যান্য অংশীজনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব জানানো হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হারুন-অর-রশিদ, মোহাম্মদ ইসহাকুল হোসেন, মো. আবুল হাশেম, বাংলাদেশ বিমানের কার্গো এক্সপোর্ট বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক তফাজ্জল হোসেন আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী প্রমুখ।