সয়াবিন ও পাম তেলের শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ফার্মের মুরগির ডিম আমদানির ক্ষেত্রেও সরকার শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক মাস ধরে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়ছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সম্প্রতি এক চিঠিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সমিতি মন্ত্রণালয়কে জানায়, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পাম তেলের দাম ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে দেশের বাজারে তারা দুই ধরনের তেলের দাম সমন্বয় (বাড়াতে) করতে চায়। সর্বশেষ সমন্বয় করা হয়েছিল গত ১৮ এপ্রিল।
তবে বিকল্প প্রস্তাবও রয়েছে এই সমিতির। সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোজ্যতেল পরিশোধন সমিতি জানায়, স্থানীয় পর্যায়ে দাম তারা বাড়াবেন না, যদি সরকার আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে। শুধু তা–ই নয়, স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারও চায় তারা। জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে কর রয়েছে ৫ শতাংশ।
বৈঠকে বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খানসহ ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর মালিকপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর তাদের (ভোজ্যতেল পরিশোধন সমিতি) প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আজই প্রস্তাবটি পাঠিয়ে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রস্তাব পেয়েছি। শুল্ক কমানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করার কাজও শুরু করেছি। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’
এদিকে আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ডিম আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ ২০ শতাংশ শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় ভোজ্যতেলের শুল্ক কমানোর তথ্যও জানান তিনি।