অব্যাহতি পাওয়ার পর যা বলল সুলতান’স ডাইনের মালিকপক্ষ

ঢাকার রেস্তোরাঁ ব্র্যান্ড সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর আজ সোমবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়া হয়েছে।

সুলতান’স ডাইনের ব্যবসায়িক অংশীদার সাজিদ জামান এ ব্যাপারে আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় সুলতান’স ডাইনকে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ জন্য আমরা এখন স্বস্তিতে আছি।’

সাজিদ জামান বলেন, ‘অনুমান ও গুজবের ওপর ভিত্তি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আমাদের খাদ্যের মান নিয়ে অনেকেই ট্রল করেছেন। তাতে আমাদের ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের আস্থার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। দেশ-বিদেশ থেকে অনেক গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনসহ গত কয়েক দিনে আমাদের অনেক ফোন করেছেন। তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। তাতে আমরা বিব্রত হয়েছি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকেও আমরা এ কথা জানিয়েছিলাম। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি।’

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সুলতান’স ডাইনের মোট ১০টি শাখা রয়েছে জানিয়ে সাজিদ জামান বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল সত্য উন্মোচিত হবেই এবং শেষ পর্যন্ত তা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগের কারণে আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছি। তারপরও আমাদের পরীক্ষিত ও আস্থাভাজন গ্রাহকেরা আমাদের কাছে এসেছেন। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এ কারণে যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এদিকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের তদন্তের পর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুলতান’স ডাইনকে কাপ্তানবাজারের মা-বাবার দোয়া গোশত বিতান নামের একটি প্রতিষ্ঠান খাসির মাংস সরবরাহ করে থাকে। কাপ্তানবাজারে খাসি জবাইয়ের সময় সুলতান’স ডাইনের প্রতিনিধিরাও মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ৯ মার্চ রেস্তোরাঁটির ব্যবস্থাপক ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা মৌখিকভাবে জানান সরবরাহকারীকে। যদিও মাংস সরবরাহকারী জানান, তাঁরা ১২৫ কেজি খাসির মাংস সরবরাহ করেছেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শুনানিতে সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে সুলতান’স ডাইনের প্রতিনিধিরা জানান, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তাঁরা কাচ্চি বিরিয়ানিতে ব্যবহার করেন। আকারে ছোট হওয়ার কারণে এ ধরনের খাসির হাড় চিকন হয়। অন্যদিকে যে মুঠোফোন নম্বর থেকে রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে ভোক্তা অধিদপ্তর রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়।