বিদ্যুৎ চালিত বাইসাইকেল (ই-বাইক) বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে
বিদ্যুৎ চালিত বাইসাইকেল (ই-বাইক) বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে

দেশের বাজারে বিদ্যুৎ চালিত বাইসাইকেল আনল আরএফএল

বিদ্যুৎ চালিত বাইসাইকেল (ই-বাইক) বাজারে এনেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আরএফএল। তাদের দাবি, দেশে প্রথমবারের মতো তারাই ই-বাইক উৎপাদন শুরু করেছে।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে নিজস্ব কারখানায় বর্তমানে দুটি মডেলের ই-বাইক উৎপাদিত হচ্ছে। এসব ই-বাইকে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা প্রায় পাঁচ হাজার ইউনিট।

রাজধানীর একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার দুরন্ত ব্র্যান্ডের বিদ্যুৎ চালিত বাইসাইকেলের আনুষ্ঠানিক বাজারজাতকরণের উদ্বোধন করেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল। প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আর এন পাল বলেন, প্রচলিত বাইসাইকেলের চেয়ে ই-বাইক সুবিধাজনক। পরিবেশবান্ধব হিসেবে সারা পৃথিবীতে ই-বাইকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এটি যাতায়াত, বিনোদন ও পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হচ্ছে, যার ফলে কম শারীরিক পরিশ্রম ও পরিবহন খরচে দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করা সম্ভব। অনেক দেশে ই-বাইকের ব্যবহারকে পরিবহনের একটি টেকসই মাধ্যম, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অনুষঙ্গ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাসের অংশ হিসেবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেরিতে হলেও বাংলাদেশে ব্যবহার শুরু হয়েছে।

আর এন পাল বলেন, ‘আরএফএল ই-বাইক ব্যবসা শুরু করল। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে উন্নত মানের পরিবেশবান্ধব ই-বাইক পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। আশা করছি, ক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা ব্যাপক সাড়া পাব।’ দেশের চাহিদা মিটিয়ে ই-বাইক রপ্তানি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা ই-বাইক উৎপাদন হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, দুরন্ত ই-বাইকে ৩৬ ভোল্টের লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। সেই ব্যাটারিও নিজেদের কারখানায় উৎপাদন করা হয়েছে। দুরন্ত ই-বাইক ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। একবার চার্জ দিয়ে অনায়াসেই ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলা যাবে। ফুল চার্জ হতে সময় লাগবে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা।

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, দুরন্ত ই-বাইকের ক্রেতারা বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। এ ছাড়া প্রথম ছয় মাসে একজন ক্রেতা চারবার বিনা মূল্যে সার্ভিসিং সুবিধা পাবেন।

শুরুর দিকে দুরন্ত ই-রাইডার ১০১ এবং দুরন্ত ই-রাইডার ২০১ নামে দুই মডেলের ই-বাইক বাজারে পাওয়া যাবে। দুরন্ত ই-রাইডার ১০১ মডেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ৪২ হাজার টাকা। দুরন্ত ই-রাইডার ২০১ মডেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৫৫ হাজার টাকা। দুরন্ত স্পোর্টস গ্যালারি ও অনুমোদিত ডিলারের বিক্রয়কেন্দ্রে দুরন্ত ই-বাইক পাওয়া যাবে।