কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখছেন এক পোশাকশ্রমিক
কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখছেন এক পোশাকশ্রমিক

আশুলিয়ায় আজ ১৯ তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ

সাভারের আশুলিয়ায় আজ মঙ্গলবারও ১৯টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ। তার মধ্যে ১৫টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। বাকি চারটি কারখানায় শ্রমিকেরা কর্মস্থলে এসেও কাজ না করে বের হয়ে যান। এ ছাড়া গাজীপুরে তিনটি কারখানা বন্ধ আছে।

আশুলিয়ার কারখানা বন্ধের এই তথ্য জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, আশুলিয়ায় ২৭২টি কারখানার মধ্যে চালু আছে ২৫৩টি। শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ আছে ১৫টি কারখানা। সেগুলো হচ্ছে মাসকট গার্মেন্টস, মাসকট নিট, মাসকট ফ্যাশনস, রেডিয়েন্স জিনস, রেডিয়েন্স ফ্যাশন, স্ক্যানডেক্স, হামজা ক্লোথিং, আরকে নিট, সান অ্যাপারেলস, টেক ম্যাক্স, শিন শিন অ্যাপারেলস, পার্ল গার্মেন্টস, জেনারেশন নেক্সট, ইউরোপিয়া ও সুসুকা নিট। এ ছাড়া রেডিয়েন্স নিটওয়্যারস, এস-২১ অ্যাপারেলস, কম্পফিট কম্পোজিট (ইউনিট-২) ও সাউদার্ন গার্মেন্টস কারখানা চালু থাকলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়।

বিজিএমইএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আশুলিয়ার ২৭২টি কারখানার মধ্যে ২৬০টি ইতিমধ্যে আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। সামগ্রিকভাবে সংগঠনটির ৯৪ দশমিক ৩১ শতাংশ সদস্য কারখানা আগস্ট মাসের বেতন দিয়েছে।

বিভিন্ন দাবি আদায়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে ঢাকার সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অস্থিরতা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত সপ্তাহে শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস অতিরিক্ত ২২৫ টাকা, টিফিন ভাতা বাড়ানো, শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি বাতিল ও নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম–অধিকার নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেয় মালিকপক্ষ। এরপর চলতি সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতির বেশ খানিকটা উন্নতি হয়।

কিন্তু আজ সকালে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত শ্রমিকের নাম মোছা. রোকেয়া বেগম। তিনি মাসকট গার্মেন্টসের সহকারী সেলাই মেশিন অপারেটর ছিলেন।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল প্রথম আলোকে বলেন, আশুলিয়ায় সকালে দুই পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারখানা বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলে টানা অস্থিরতার সময় অনেক কারখানা বন্ধ ছিল। বর্তমানে যেগুলো বন্ধ আছে, সেগুলোর মালিকেরা কারখানা খোলার বিষয়ে আস্থা পাচ্ছেন না। কারখানার মালিকেরা মনে করছেন, এখনই চালু করলে আবার সমস্যা হতে পারে। সে জন্য তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই উৎপাদনে ফিরতে চাইছেন।