রিহ্যাবের নতুন কমিটি আজ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন
রিহ্যাবের নতুন কমিটি আজ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন

দায়িত্ব নিল রিহ্যাবের নতুন নেতৃত্ব

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) ২০২৪-২৬ সাল মেয়াদের নতুন কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে।

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রিহ্যাবের নতুন নেতারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংগঠনের নতুন সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব বুঝে নেয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রথম সহসভাপতি এম এ আউয়াল, দ্বিতীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, তৃতীয় সহসভাপতি আব্দুল লতিফ, সহসভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সহসভাপতি হাজী দেলোয়ার হোসেনসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিহ্যাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্যদের ভোটে ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। এরপর ২৯ ফেব্রুয়ারি রিহ্যাব কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির (অফিস বেয়ারার) ভোট সম্পন্ন হয়। এসব কার্যক্রম শেষে ৭ মার্চ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে নির্বাচনী বোর্ড। সেই ধারাবাহিকতায় আজ নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা দায়িত্ব নিলেন।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রিহ্যাব নেতারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রশাসক ও নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে রিহ্যাব সদস্যদের জন্য বিদ্যমান সমস্যা-সংকট দূর করতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করার কথা জানান তাঁরা।

এ বছর রিহ্যাবের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ২৯টি পদের মধ্যে ২৫টিতে জয়ী হয়েছে আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ। এই প্যানেলের লিডার বা দলনেতা মো. ওয়াহিদুজ্জামান সর্বোচ্চ ভোট পান। এ ছাড়া হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশনের এমডি ইন্তেখাবুল হামিদের নেতৃত্বাধীন জয় ধারা প্যানেলের তিন প্রার্থী এবং ডেভেলপারস ফোরাম প্যানেলের একজন জয়ী হন। নবজাগরণ প্যানেলের কেউ জয়ী হতে পারেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও কেউ জয়ের মুখ দেখেননি।

কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাতজন। এসব পদে ৪৪ ভোটারের মধ্যে ৩৯ জন ভোট দেন। শেষ পর্যন্ত জয়ী হন আবদুল কাইয়ূম ভূঁইয়া, সৈয়দ ইরফানুল আলম ও নুর উদ্দিন আহাম্মদ।