অর্থবছরের শেষ দিকে এসে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। গত মে মাসে ৪০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ কম। রপ্তানিতে এই পরিমাণ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে আর হয়নি।
মে মাসে রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে সামগ্রিকভাবে পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হারও কমে গেছে। এপ্রিলের শেষে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মে শেষে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ বুধবার পণ্য রপ্তানির এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৫ হাজার ৫৩ কোটি ডলারের পণ্য।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি বাড়লেও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, আসবাব, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে মোট পণ্য রপ্তানির ৮৫ শতাংশ আয় তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। এ সময় ৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।
তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানি আয় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাত থেকে এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৯৬ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কম।