এফবিসিসিআই
এফবিসিসিআই

এফবিসিসিআইয়ের সহায়ক কমিটি পুনর্গঠন

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসককে তাঁর কার্যক্রমে সহায়তা দিতে গঠিত সহায়ক কমিটি আজ সোমবার পুনর্গঠন করা হয়েছে।

গত ১৭ অক্টোবর তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সদস্য ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, সাবেক পরিচালক আবদুল হক ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁদের মধ্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন দায়িত্ব পালনে অপরাগতা প্রকাশ করেন। ফলে তাঁকে বাদ দিয়ে নতুন করে দুজনকে কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে সহায়ক কমিটির সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪। নতুন যে দুজনকে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ও মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।

সরকার গত সেপ্টেম্বরে এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে। তখন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমানকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, এফবিসিসিআইয়ের বিদায়ী সভাপতি মাহবুবুল আলম স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগের পর মো. আমিন হেলালী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। যদিও তাঁর দাবির পেছনে পর্ষদ পুনর্গঠনসংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত যে পত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, তা তারিখের দিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ ছিল।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, নির্বাচিত পরিচালকদের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পর্ষদের সমন্বয়হীনতার কারণে বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২২-এর ১৭ (১) ধারা অনুযায়ী ‘ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য, সেবা খাতের স্বার্থে’ সংগঠনটি সার্বিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। সে কারণে বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২২-এর ১৭ (১) ধারা অনুযায়ী বর্তমান পর্ষদ ভেঙে দেওয়া আবশ্যক। সংগঠনের সব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট আইন, সংগঠনের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি অনুযায়ী এফবিসিসিআই পরিচালিত হওয়া আবশ্যক বলে মনে করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বাস্তবতায় সরকার এফবিসিসিআইয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়।

মূলত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই এফবিসিসিআই পর্ষদের কয়েকজন সদস্যসহ সাধারণ সদস্যদের একাংশ সংগঠনটির নেতৃত্ব বদলে তৎপর হয়ে ওঠেন। তাঁদের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের বিএনপিপন্থী সাবেক নেতারাও যুক্ত হন।