২৫০ সিসির পালসার এন২৫০ এখন বাজারে, দাম ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরা মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মতিউর রহমান
ছবি: প্রথম আলো

দেশের বাজারে এই প্রথম বিক্রি শুরু হয়েছে ভারতীয় কোম্পানি বাজাজের ২৫০ সিসির মোটরসাইকেল— পালসার এন২৫০। উত্তরা মোটরস লিমিটেড তাদের স্থানীয় কারখানায় তৈরি এ মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে। নতুন এ মোটরসাইকেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরা মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মতিউর রহমান, ব্যবসা পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান নাঈমুর রহমান ও বাজাজ অটো ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক সামীর মারদিকার প্রমুখ।

দেশে বাজাজের মোটরসাইকেল বাজারজাত করে উত্তরা মোটরস। তারা জানিয়েছে, দেশের বাজারে ২৫০ সিসির প্রথম মোটরসাইকেল হিসেবে পালসার এন২৫০ বাজারজাত করা হয়েছে। স্পোর্টিং ধরনের এই মোটরসাইকেল মোটরসাইকেলপ্রেমীদের চাহিদা ও শহরের দৈনন্দিন পরিস্থিতিতে চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ব্যবসার পরিবেশ ও শিল্প উৎপাদনে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার এখন বাংলাদেশ। ভারত দুই যুগ ধরে বাংলাদেশকে প্রায় সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে, যদিও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারতের পাল্লাই ভারী। তবে ক্রমেই ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলের বাজারজাত কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, ভৌগোলিক নৈকট্য ও কাছাকাছি অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোর ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। নতুন ও যৌথ অংশীদারত্বের মাধ্যমে এসব কোম্পানি দেশের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।

পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলের বাজারজাতকরণ সম্পর্কে মতিউর রহমান বলেন, ‘অনেক দিনের চেষ্টায় গ্রাহকদের অনেক দিনের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। দেশে বর্তমানে বাজাজের ছয় লাখ পালসার মোটরসাইকেল চলছে। অন্যদিকে ২০১৮ সাল থেকে দেশে উত্তরা মোটরসের কারখানায় চার লাখের বেশি মোটরসাইকেল তৈরি হয়েছে।’ চলতি অর্থবছরের মধ্যে আরও কয়েকটি মডেল বাজারে আনার পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।

মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা আস্থা সহকারে বলতে পারি, আমাদের কারখানায় তৈরি মোটরসাইকেলের গুণগত মান ভারতে তৈরি মোটরসাইকেলের মানের সমান।’
উত্তরা মোটরসের ব্যবসা পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান নাঈমুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশে আমরা ১৬০ সিসির অধিক সক্ষমতার মোটরসাইকেল বাজারে আনতে পেরেছি। দুই দশক ধরে দেশের বাজারে বাজাজের মোটরসাইকেল শীর্ষ স্পোর্টস বাইক হিসেবে জায়গা নিয়ে আছে।’ ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বর্ণনা করেন বাজাজ অটো ইন্ডিয়ার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ব্যবস্থাপক সামীর মারদিকার।

পালসার এন২৫০-এ যা আছে
উত্তরা মোটরসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ২৫০ সিসির ৫০০ থেকে ৬০০টি মোটরসাইকেল বাজারে আনা হয়েছে। বাজাজ পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলটিতে রয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস প্রযুক্তি। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস হলো এমন প্রযুক্তি, মোটরসাইকেলের চাকা লক না হওয়া বা আটকে যাওয়া অথবা যেকোনো রাস্তায় চাকা যেন পিছলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এটি কাজ করে।
ব্রুকলিন ব্ল্যাক রঙের মোটরসাইকেলটিতে থাকবে বাই ফাংশনাল এলইডি প্রজেক্টর হেডল্যাম্প ও গ্লিটার প্যাটার্নের এলইডি টেইল ল্যাম্প। আছে ইউএসবি মুঠোফোনের চার্জিং ব্যবস্থাও। মোটরসাইকেলটির সামনে ৩৭ মিলিমিটারের টেলিস্কোপিক সাসপেনশন ও পেছনে রয়েছে মনোশক সাসপেনশন।

মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিনটি ফোর স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার ধরনের। ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৫ নিউটন মিটার টর্ক পাওয়া যায়। মোট ১৪ লিটার ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটির বাইকটির ওজন ১৬২ কেজি। বাজাজ পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলে ৪৫ কিলোমিটারের মতো মাইলেজ পাওয়া যাবে।