ঈদের ছুটির আগেই রপ্তানি পণ্যের চাপে পড়েছে চট্টগ্রামের বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলো। ছুটির সময় যেসব পণ্য রপ্তানি হবে, সেগুলো আগেই পাঠিয়ে দেওয়ায় এই চাপ তৈরি হয়েছে। তবে বন্দরে কনটেইনার রাখার জায়গা খালি থাকায় এবার বড় ধরনের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা।
বেসরকারি ডিপো সমিতি জানায়, সোমবার চট্টগ্রামের ২০টি কনটেইনার ডিপোতে রপ্তানি পণ্যবাহী প্রায় ১৫ হাজার কনটেইনার পড়ে ছিল। এসব কনটেইনার পণ্য ধাপে ধাপে বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়ার কথা। স্বাভাবিক সময়ে ডিপোগুলোতে রপ্তানি পণ্যের ছয়–সাত হাজার কনটেইনার নিয়মিত থাকে।
জানতে চাইলে কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারখানাগুলো বন্ধের সময় যেসব পণ্য রপ্তানি হবে, সেগুলো আগেই পাঠিয়ে দেন রপ্তানিকারকেরা। এ কারণে প্রতিবছর ঈদের ছুটির সময় ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের স্তূপ বেড়ে যায়। তবে এবার বন্দর রপ্তানি পণ্যের দেড় হাজার একক কনটেইনার রাখার জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা আরও এক হাজার একক কনটেইনার রাখার জায়গা চেয়েছি। আশা করছি, সমস্যা হবে না।’
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ৯০ শতাংশেরই ব্যবস্থাপনা করে চট্টগ্রামের বেসরকারি ২০টি ডিপো। রপ্তানিকারকেরা কারখানা থেকে কাভার্ড ভ্যানে পণ্য এনে ডিপোর ছাউনিতে রাখেন। সেখানে কাস্টমসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষে রপ্তানিকারকের প্রতিনিধিরা বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেন। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা রপ্তানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করে বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেন। রপ্তানি পণ্য ছাড়াও খালি কনটেইনার সংরক্ষণ করে ডিপোগুলো। আবার ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য বন্দর থেকে ডিপোতে এনে খালাস করা হয়।
বন্দরের তথ্যে দেখা যায়, বন্দরের প্রায় ৫৪ হাজার একক কনটেইনার রাখার জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে কনটেইনার রয়েছে প্রায় ৩১ হাজার একক। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার ৪২ শতাংশ জায়গা খালি রয়েছে। ডিপোতে চাপ থাকলেও বন্দরে এবার পণ্যবাহী কনটেইনারের চাপ নেই।
জানতে চাইলে বন্দরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, এখন পর্যন্ত বন্দরে পণ্যবাহী কনটেইনার ও কনটেইনারবাহী জাহাজের চাপ নেই। বন্দরে চাপ কম থাকলে পরিচালন কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবেই গতি আসে। তাতে ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের স্তূপ বাড়লেও পণ্য জাহাজীকরণে খুব বেশি সমস্যা হবে না।