রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে ৭১টি প্রতিষ্ঠান। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রফিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২৮টি পণ্য খাতে ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জপদক। এ ছাড়া সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের জন্য ১টি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় গত পাঁচ দশক দেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে যেভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এসেছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে সরকার ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে ইউনিভার্সেল জিনস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ট্রফি গ্রহণ করেন।
তৈরি পোশাকের ওভেন শ্রেণি বা ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টস। এই ক্যাটাগরিতে রৌপ্যপদক পেয়েছে স্নোটেক্স আউট ওয়্যার ও ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস।
নিটওয়্যার শ্রেণিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ। রৌপ্যপদক পেয়েছে স্কয়ার ফ্যাশনস এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ফ্লামিংগো ফ্যাশন।
সব ধরনের সুতা শ্রেণিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে স্কয়ার টেক্সটাইল। রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বাদশা টেক্সটাইলস এবং ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং।
টেক্সটাইল ফেব্রিকসে স্বর্ণপদক পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস। রৌপ্যপদক পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইলস এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে হা-মীম ডেনিম।
হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস। টেরিটাওয়েলে স্বর্ণপদক পেয়েছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস।
হিমায়িত খাদ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বিডি সি ফুড এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে ক্রিমসন রোসেলা সি ফুড। আর ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে এম ইউ সি ফুডস।
কাঁচা পাট খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে উত্তরা পাট সংস্থা।
পাটজাত দ্রব্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে আকিজ জুট মিলস এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে জনতা জুট মিলস। এ ছাড়া ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে করিম জুট স্পিনার্স।
চামড়াজাত পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে পিকার্ড বাংলাদেশ এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ।
ফুটওয়্যার খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বে-ফুটওয়্যার এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে এফবি ফুটওয়্যার। এ খাতে ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে আকিজ ফুটওয়্যার।
কৃষিজ পণ্যে (তামাক ব্যতীত) স্বর্ণপদক পেয়েছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং লিমিটেড। রৌপ্যপদক পেয়েছে আল আজমী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে এলিন ফুডস ট্রেড।
কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে (তামাকজাত পণ্য ব্যতীত) স্বর্ণপদক পেয়েছে প্রাণ ডেইরি, রৌপ্যপদক প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো।
ফুল-ফলিয়েজ শ্রেণিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, এতে একটি পদকই দেওয়া হয়।
হস্তশিল্পজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক কারুপণ্য রংপুর, রৌপ্যপদক বিডি ক্রিয়েশন এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস। প্লাস্টিক পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বেঙ্গল প্লাস্টিকস, রৌপ্যপদক ডিউরেবল প্লাস্টিক এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল।
সিরামিকসামগ্রী খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকস এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে আর্টিসান সিরামিকস। হালকা প্রকৌশল খাতে স্বর্ণপদক এম অ্যান্ড ইউ সাইকেলস, রৌপ্যপদক মেঘনা বাংলাদেশ এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ইউনিগ্লোরি সাইকেল কমপোনেন্টস। ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে বিআরবি কেব্ল ইন্ডাস্ট্রিজ।
অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে মেরিন সেফটি সিস্টেম, রৌপ্যপদক তাসনিম কেমিক্যালস কমপ্লেক্স লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বিএসআরএম স্টিলস। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, রৌপ্যপদক স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে নিপ্রো জেএমআই কোম্পানি।
কম্পিউটার সফটওয়্যার ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড। এ খাতে রৌপ্যপদক পেয়েছে গোল্ডেন হার্ভেস্ট ইনফোটেক। ইপিজেডভুক্ত বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাক শ্রেণিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে প্যাসিফিক জিনস, রৌপ্যপদক পেয়েছে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে শাশা ডেনিমস।
ইপিজেডভুক্ত বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে ফারদিন এক্সেসরিজ এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে আর এম ইন্টারলাইনিংস।
প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজ পণ্য খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে মনট্রিমস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পেয়েছে এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং এবং ব্রোঞ্জপদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছে অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশন এবং রৌপ্যপদক পেয়েছে নিহাও ফুড কোং লিমিটেড। অন্যান্য সেবা খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে এক্সপো ফ্লেইট লিমিটেড। এ খাতে রৌপ্যপদক পেয়েছে মীর টেলিকম।
নারী উদ্যোক্তা খাতে স্বর্ণপদক পেয়েছে পাইওনিয়ার নিটওয়ার্স। রৌপ্যপদক পেয়েছে বী-কন নিটওয়্যার এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস।