শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, চলতি বছর পবিত্র ঈদুল আজহার সময় চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। বিশেষ করে এ বছর সাভারে অবস্থিত চামড়াশিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) পুরোপুরি প্রস্তুত ও কার্যকর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত চামড়াশিল্প নগরী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিল্পসচিব। এ সময় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা, মো. শামীমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান হয়।
মূলত ঈদুল আজহায় চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা এবং চামড়াশিল্প–সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, তা সরেজমিন দেখতেই এ পরিদর্শনে যান তাঁরা।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, চামড়াশিল্পন গরীর সিইটিপির সব কটি মডিউলকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মেরামতের মাধ্যমে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দিয়ে তরল বর্জ্যকে পরিশোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া সিইটিপিতে বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। অন্যদিকে, প্রাথমিক পরিশোধন ছাড়া যাতে কোনো ট্যানারি বর্জ্য সিইটিপিতে আসতে না পারে, সেটিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
চামড়াশিল্পের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের চারটি নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনাগুলো বর্তমানে যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে বলে জানান শিল্পসচিব। তিনি জানান, বড় ট্যানারিগুলো ইতিমধ্যে ক্রোম রিকভারি ইউনিট (সিআরইউ) স্থাপন করেছে। পরিশোধন করা তরল বর্জ্যের মধ্যে ক্রোমিয়াম ও বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) ছাড়া অন্য প্যারামিটারগুলো নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই রয়েছে। পরিশোধন করা তরল বর্জ্যের সঠিক মান নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব পরীক্ষাগারে তা পরীক্ষা করা হবে।
সব মিলিয়ে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারে ঈদুল আজহার সময় চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব হয়েছে বলে দাবি করেন শিল্পসচিব। জাকিয়া সুলতানা বলেন, চামড়াশিল্প খাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। এই টাস্কফোর্স এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবিড় তদারকের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।