বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) আয়োজনে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম’ সম্মেলনের প্রথম আয়োজন।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) আয়োজনে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম’ সম্মেলনের প্রথম আয়োজন।

পোশাকশিল্পে টেকসই উন্নয়নে ঢাকায় হবে ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় তৈরি পোশাকশিল্পে পরিবেশসম্মত টেকসই উন্নয়নের পথকে ত্বরান্বিত করতে ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম’ শীর্ষক সম্মেলন।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) আয়োজনে আগামী বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর, ২০২৪) ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে দিনব্যাপী সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকারের প্রতিনিধি, জলবায়ুবিশেষজ্ঞ, বিদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

সম্মেলনটি আয়োজনে সহযোগী হিসেবে আছে অ্যাপারেল ইমপ্যাক্ট ইনস্টিটিউট, ক্যাসকেল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জিআইজেড, এইচঅ্যান্ডএম, ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস, পিডিএস ও টার্গেট।

বিএই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণের প্রায় ১০ শতাংশের জন্য দায়ী ফ্যাশনশিল্প। এটি এয়ারলাইনস ও শিপিং খাতের সম্মিলিত কার্বন নিঃসরণের চেয়ে বেশি। ফলে ফ্যাশনশিল্পে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়টি সব মহলেই গুরুত্ব পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম’ শীর্ষক সম্মেলনের প্রথম আয়োজনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন।

বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ফ্যাশন: ড্রাইভিং কালেকটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’। দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী প্রমুখ। তারপর প্যানেল আলোচনা, উপস্থাপনা ও কর্মশালা থাকবে। এ ছাড়া দুটি উদ্যোগের উদ্বোধনও হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে কার্বন নিঃসরণ অবশ্যই কমাতে হবে। তার জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ লাগবে। তৈরি পোশাক খাতকে টেকসই অনুশীলনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে কার্বন নিঃসরণ কমানো ছাড়াও ভবিষ্যতে টেকসই অবস্থান তৈরিতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে পারে।