সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন হা-মীম গ্রুপের পরিচালক সাজিদ আজাদ। গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে
সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন হা-মীম গ্রুপের পরিচালক সাজিদ আজাদ। গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে

এবার ৭৭ প্রতিষ্ঠান জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে

৩২টি খাতের মোট ৭৭ প্রতিষ্ঠান ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে। এর মধ্যে ২৯ প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ, ২৭ প্রতিষ্ঠান রৌপ্য ও ২১ প্রতিষ্ঠান ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। সব খাতের মধ্যে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি’ নামে আলাদা স্বর্ণপদক পেয়েছে তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতের রিফাত গার্মেন্টস। এটি হা–মীম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সেরা রপ্তানিকারকদের হাতে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি তুলে দেন। তিনি পণ্যে বৈচিত্র্য আনয়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য, উপসাগরীয় অঞ্চল, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। এসব দেশ ও অঞ্চলের দিকে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের আরও বেশি নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যেসব দেশের সঙ্গে এত দিন আমরা রপ্তানি বাণিজ্য করতাম, তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, দারিদ্র্যের হারও বেড়ে গেছে। সেখানকার অবস্থা হয়তো ওপর দিয়ে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু সেসব দেশে যারা থাকে, তারা জানে। সে জন্য আমাদের নতুন নতুন জায়গা ও নতুন নতুন পণ্য খুঁজতে হবে।’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্যসচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি লাভকারী রিফাত গার্মেন্টসের পরিচালক সাজিদ আজাদ এবং পিকার্ড বাংলাদেশের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অমৃতা মাকিন ইসলাম তাঁর প্রতিষ্ঠানের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বিভাগে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের জন্য স্বর্ণপদক জয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেবল আরএমজি (তৈরি পোশাক) পণ্যের ওপরই নির্ভরশীল থাকব কেন? ট্রেন্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের পোশাকের ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য বেসরকারি খাতের সহায়তায় ফ্যাশন ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয় করেছে সরকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান যুগ অর্থনৈতিক কূটনীতির যুগ। সেভাবেই বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোকে তাঁর নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। কোন দেশের বাজারে আমরা ঢুকতে পারব, সেটা সরকারের পক্ষ থেকে আমরা করব। কিন্তু ব্যবসায়ীদেরও নিজেদের পার্টনার নিজেদেরকে খুঁজে নিতে হবে।’

এখন ঘরে ঘরে ইন্টারনেট রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের জন্য কম্পিউটার ট্রেনিং ও কম্পিউটার ইনকিউবেশন সেন্টার করে দিয়ে কারিগরি শিক্ষা ও ভোকেশনাল ট্রেনিংকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যখন আসবে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের জনশক্তি তৈরি করা প্রয়োজন। এ জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।’

পুরস্কার নিচ্ছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদের যুবসমাজ যেন এগিয়ে আসে।’ তিনি জানান, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণকালে অনেক যুব উদ্যোক্তাকে দেখতে পেয়ে তিনি আনন্দিত হয়েছেন। বলেন, অনেকেই বাবার ব্যবসা ধরে রেখে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং ট্রফি হাতে তুলে নিয়েছেন। এতেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এই যুবসমাজই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘শুধু সীমিত কয়েকটি পণ্যের ওপর আর আমরা নির্ভরশীল থাকতে চাই না। আজকে বিদেশে আমাদের বহু পণ্যের চাহিদা রয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে যেমন আমাদের ওষুধের দাম অনেক বেশি। তারা একটু রংচঙা জিনিস পছন্দ করে, কাজেই আমাদের সিরামিক যত রংচঙা হবে, তাদের কাছে তত আকর্ষণীয় হবে। পাশাপাশি আমাদের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রয়েছে। আর জুট জিনোম যেহেতু আমরা আবিষ্কার করেছি, তাই এর বহুমুখীকরণ করে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে এটি বাজারজাত করা সবচেয়ে সহজ।’

এবার যেসব প্রতিষ্ঠান রপ্তানি ট্রফি পেল

বিভিন্ন খাতে রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় দেশের রপ্তানি আয়ের (প্রায় ৮৫%) প্রধান খাত তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের প্রাধান্য দেখা গেছে। এবার তৈরি পোশাক (ওভেন) খাত থেকে তিনটি কোম্পানি পুরস্কার পেয়েছে। তৈরি পোশাক নিটওয়্যার খাত থেকে পুরস্কার পেয়েছে তিনটি কোম্পানি। সব ধরনের সুতা খাত থেকে তিনটি, টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাতে তিনটি প্রতিষ্ঠান; হোম ও স্পেশালাইজড খাত থেকে তিনটি করে প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে। টেরিটাওয়েল খাতে দুটি, হিমায়িত খাদ্যে তিনটি, কাঁচা পাটে তিনটি, পাটজাত দ্রব্যে দুটি, চামড়াজাত পণ্যে দুটি; ফুটওয়্যারে (সব) তিনটি, কৃষিপণ্যে (তামাক ছাড়া) তিনটি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে তিনটি, হস্তশিল্পজাত পণ্যে তিনটি; মেলামাইন খাতে একটি, প্লাস্টিক পণ্যে তিনটি, সিরামিকে তিনটি, হালকা প্রকৌশলে তিনটি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্যে দুটি এবং অন্যান্য শিল্পজাত পণ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে।

এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের তিনটি, কম্পিউটার সফটওয়্যারে দুটি, ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাকশিল্পে (নিট ও ওভেন) তিনটি, ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবায় তিনটি, প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ খাতে তিনটি, অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে তিনটি, অন্যান্য সেবা খাতে দুটি এবং নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাত থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়েছে। আগের অর্থবছরে রপ্তানি পুরস্কার পেয়েছিল ৭৩টি প্রতিষ্ঠান।

মেঘনা বাংলাদেশের পক্ষে পুরস্কার নিচ্ছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূঁইয়া

এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাত থেকে কোন কোন প্রতিষ্ঠান রপ্তানি পুরস্কার পেয়েছে। তৈরি পোশাক (ওভেন) খাত থেকে উইন্ডি অ্যাপারেলস স্বর্ণ, অ্যাপারেল গ্যালারি লিমিটেড রৌপ্য ও চিটাগাং এশিয়ান অ্যাপারেলস ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। তৈরি পোশাক নিটওয়্যার খাত থেকে লিবার্টি নিটওয়্যার লিমিটেড স্বর্ণ, ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেড রৌপ্য ও ফ্ল্যামিংগো ফ্যাশনস লিমিটেড ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে।

সব ধরনের সুতা খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড। এ খাতে স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড রৌপ্য ও কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড ব্রোঞ্জ পেয়েছে। টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাত থেকে নাইস ডেনিম মিলস লিমিটেড স্বর্ণ, হা-মীম ডেনিম লিমিটেড রৌপ্য ও ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাত থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড আর মমটেক্স এক্সপো লিমিটেড রৌপ্য ও এসিএস টেক্সটাইলস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ব্রোঞ্জ পেয়েছে। টেরিটাওয়েল খাত থেকে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড স্বর্ণ ও এসিএস টাওয়েল লিমিটেড পেয়েছে রৌপ্যপদক।

পুরস্কার নিচ্ছেন শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ

হিমায়িত পণ্য খাতে ছবি ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড স্বর্ণ, প্রিয়াম ফিশ এক্সপোর্ট লিমিটেড রৌপ্য ও এমইউসি ফুডস লিমিটেড ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

কাঁচা পাট খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড; আর মেসার্স তানফিয়া জুট ট্রেডিং রৌপ্য ও মেসার্স ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

পাটজাত দ্রব্য থেকে জনতা জুট মিলস স্বর্ণ ও আকিজ জুট মিলস রৌপ্য পেয়েছে। চামড়াজাত পণ্যে পিকার্ড বাংলাদেশ স্বর্ণ ও এবিসি ফুটওয়্যার পেয়েছে রৌপ্য। সব ফুটওয়্যার খাতে বে-ফুটওয়্যার স্বর্ণ, এডিসন ফুটওয়্যার রৌপ্য ও এফবি ফুটওয়্যার ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

কৃষিপণ্য থেকে ইনডিগো করপোরেশন স্বর্ণ, মনসুর জেনারেল ট্রেডিং রৌপ্য ও সিএসএস ইন্টারন্যাশনাল ব্রোঞ্জ পেয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো স্বর্ণ, প্রাণ অ্যাগ্রো রৌপ্য ও প্রাণ ফুডস লিমিটেড ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

হস্তশিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণ পেয়েছে কারুপণ্য রংপুর; আর বিডি ক্রিয়েশন রৌপ্য ও ক্ল্যাসিকস হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

মেলামাইন থেকে স্বর্ণ পেয়েছে ডিউরেবল প্লাস্টিক; প্লাস্টিক পণ্যে অলপ্লাস্ট স্বর্ণ, আকিজ বায়াক্স ফিল্মস রৌপ্য ও বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল ব্রোঞ্জ পেয়েছে। সিরামিকসামগ্রী খাতে শাইনপুকুর সিরামিকস স্বর্ণ পেয়েছে; আর্টিসান সিরামিকস রৌপ্য ও প্রতীক সিরামিকস ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

হালকা প্রকৌশল খাতে এমঅ্যান্ডইউ সাইকেলস স্বর্ণ, মেঘনা বাংলাদেশ রৌপ্য ও রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ ব্রোঞ্জ পেয়েছে। ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক খাতে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ স্বর্ণ পেয়েছে; রৌপ্য পেয়েছে বিআরবি কেব্‌ল ইন্ডাস্ট্রিজ।

অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাতে মেরিন সেফটি সিস্টেম স্বর্ণ, মেসার্স এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস রৌপ্য ও তাসনিম কেব্‌লস ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য খাতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল স্বর্ণ, ইনসেপ্‌টা ফার্মা রৌপ্য ও স্কয়ার ফার্মা ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

পুরস্কার নিচ্ছেন পিকার্ড বাংলাদেশের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অমৃতা মাকিন ইসলাম

কম্পিউটার সফটওয়্যারে স্বর্ণ পেয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড; রৌপ্য পেয়েছে গোল্ডেন হারভেস্ট ইনফোটেক।

ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাকশিল্প (নিট ও ওভেন) থেকে ইউনিভার্সেল জিনস স্বর্ণ, প্যাসিফিক জিনস রৌপ্য ও শাশা ডেনিমস ব্রোঞ্জ পেয়েছে। ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাতে স্টার প্যাকেজিং অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ স্বর্ণ, পদ্মা স্পিনিং অ্যান্ড কম্পোজিট রৌপ্য ও ফারদিন অ্যাকসেসরিজ ব্রোঞ্জ পেয়েছে।

প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ খাতে এমঅ্যান্ডইউ প্যাকেজিং স্বর্ণ, মনট্রিমস লিমিটেড রৌপ্য ও মেসার্স ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং ব্রোঞ্জ পেয়েছে। অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যের মধ্যে হেয়ার স্টাইল ফ্যাক্টরি স্বর্ণ, রায় ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল রৌপ্য ও ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল ব্রোঞ্জ পেয়েছে। অন্যান্য সেবা খাতে স্বর্ণ পেয়েছে মেসার্স এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেড ও রৌপ্য পেয়েছে মীর টেলিকম লিমিটেড।

নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাতে স্বর্ণ পেয়েছে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস; বী-কন নিটওয়্যার রৌপ্য ও ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে।