শিল্প খাতে ব্যবহারের জন্য চুনাপাথর আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে যারা কাঁচামাল হিসেবে এটি ব্যবহার করে, তাদের এখন চুনাপাথর বা লাইমস্টোন আমদানিতে কোনো সম্পূরক শুল্ক দিতে হবে না। এত দিন ৩০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো।
সিমেন্ট, সিরামিকসসহ বেশ কিছু শিল্প কাঁচামাল হিসেবে চুনাপাথর ব্যবহার করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল সোমবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। চুনাপাথর আমদানিকারককে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইআরসিধারী হতে হবে। এ ছাড়া ভ্যাটের যাবতীয় নিয়মকানুন প্রতিপালন করতে হবে।
আইআরসি হলো ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফকেট বা আমদানি নিবন্ধন সনদ। কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে এ সনদ থাকা প্রয়োজন।
বড় বড় সিমেন্ট কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ২০ শতাংশ পর্যন্ত চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া সিরামিক, টাইলস শিল্পের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চুনাপাথর ব্যবহার হয় বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে সিমেন্ট শিল্পের সঙ্গে কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এতে উৎপাদন খরচ কমবে।
এনবিআর পরিচালনা ট্যারিফ শিডিউল অনুযায়ী, চুনাপাথর আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ সব মিলিয়ে কর ভার রয়েছে ৬৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর মানে হল, ১০০ টাকার চুনাপাথর আমদানি করলে প্রায় ৬৯ টাকা শুল্ককর দিতে হয়। সম্পূরক শুল্ক উঠিয়ে দেওয়ায় এই করভার কমে যাবে। এখন থেকে ১০০ টাকার চুনাপাথর আমদানি করলে ৩৩ টাকার মতো শুল্ককর দিতে হবে।
সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুবিধা পেতে হলে আমদানিকারককে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হবে। যেমন তাকে আইআরসিধারী হওয়া ছাড়াও তিনি আগের মাসের ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করেছে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ হাই–টেক পার্কে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান, যাদের শিল্প ভোক্তা আইআরসি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই—তারাও এই শুল্ক ছাড়ের সুযোগ নিতে পারবে।