পদ্মা সেতু চালু হয়েছে এক মাস হতে চলেছে। এখনো এ সেতুকে ঘিরে মানুষের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। এ কারণে আগ্রহী দর্শনার্থীদের জন্য ছুটির দিনে বিশেষ ট্যুরের ব্যবস্থা করেছে পর্যটন করপোরেশন। আজ শুক্রবার ৯৯৯ টাকায় পদ্মা সেতু দেখার বিশেষ এ ট্যুরের উদ্বোধন করা হয়।
পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, প্রথম ট্যুরেই মিলেছে ৬০ জন দর্শনার্থী। আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এসব দর্শনার্থীকে দুটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ট্যুরিস্ট কোস্টারে করে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম ট্যুরে দুটি কোস্টার ছাড়াও একটি মাইক্রোবাসে করে কিছু দর্শনার্থী নেওয়া হয় বলে জানান করপোরেশনের উপব্যবস্থাপক (বিপণন ও ভ্রমণ) শেখ মেহদি হাসান। তিনি আরও জানান, আগামীকাল ২৩ জুলাই ও ২৯ জুলাই পর্যন্ত পদ্মা সেতু দেখতে আগাম বুক হয়ে গেছে। এই দুই দিনে ১১০ জন দর্শনার্থী পদ্মা সেতু দেখতে আগাম বুকিং দিয়েছেন।
পর্যটন করপোরেশন জানায়, সপ্তাহে দুই দিন সংস্থাটি দর্শনার্থীদের পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে যাবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবন থেকে বিকেল ৪টায় আগ্রহী দর্শনার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে পদ্মা সেতু ঘুরিয়ে আবার রাত ১০টায় ফিরে আসবে। যদিও প্রথম যাত্রায় নির্ধারিত সময়সীমা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। রাস্তার যানজট ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিলম্বের কারণে কিছুটা বাড়তি সময় লাগে প্রথম দিন।
এদিকে প্রথম দিন দর্শনার্থীরা ৯৯৯ টাকায় পদ্মা সেতু দেখার সুযোগ পেলেও আগামীকাল শনিবার থেকে ভ্রমণ খরচ বাড়বে। আগামীকাল যেসব দর্শনার্থী পর্যটন করপোরেশনের কোস্টারে চড়ে পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন, তাঁদের জনপ্রতি গুনতে হবে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ বিষয়ে শেখ মেহদি হাসান বলেন, ‘আমাদের এ প্যাকেজের খরচ ২ হাজার টাকা। প্রথম কয়েক দিন বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।’
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৯ আসন করে ৫৮ আসনের দুটি এসি ট্যুরিস্ট কোস্টার প্রতি শুক্র ও শনিবার দর্শনার্থী নিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চত্বর পর্যন্ত যাবে। আপাতত সপ্তাহে দুই দিন এ ভ্রমণের আয়োজন করা হবে। দর্শনার্থীদের চাহিদা বিবেচনায় পরে তা আরও বাড়ানো হতে পারে।
‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমণ’ শীর্ষক প্যাকেজ ট্যুরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এরপর আগ্রহী দর্শনার্থীদের নিয়ে দুটি ট্যুরিস্ট কোস্টার পদ্মা সেতুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। আজকের পর ২৩ জুলাই ও ২৯ জুলাই যাত্রার জন্যও আগাম বুক হয়ে গেছে।