মোটরসাইকেল কিনতে পাওয়া যায় ব্যাংকঋণ

মোটরসাইকেল
প্রতীকী ছবি

ব্যাংকগুলোও এখন মোটরসাইকেল কিনতে ঋণ দিচ্ছে। বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংক সরাসরি মোটরসাইকেল কেনার ঋণ দেয়। অন্য ব্যাংকগুলো থেকেও ঋণ নিয়ে মোটরসাইকেল কেনা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, এর নতুন নিয়মে এসব ঋণের সুদহার হতে পারে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ব্যাংকগুলো অবশ্য সবাইকে ঋণ দেয় না। যাঁদের আয় আছে অথবা আয় আছে এমন কারও ওপর নির্ভরশীল, শুধু তাঁরাই ঋণ পান। চাকরিজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকেরা এ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। কোনো কোনো ব্যাংক শিক্ষার্থীদেরও মোটরসাইকেল কেনার ঋণ দেয়।

চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে যাঁদের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকা, তাঁরাই এ ঋণ পাওয়ার যোগ্য। আর ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিকদের ক্ষেত্রে যাঁদের মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা, তাঁরা এ ঋণ পাবেন।

জানা গেছে, বর্তমানে বেসরকারি খাতের দি সিটি, প্রাইম ও ব্র্যাক ব্যাংক মোটরসাইকেল ঋণ দিচ্ছে। ইস্টার্ণ ও উত্তরা ব্যাংকও মোটরসাইকেল কেনার ঋণ দিতে নতুন সেবা চালু করেছে।

মোটরসাইকেল কেনার ঋণ পরিশোধ করা যায় তিন বছরের কিস্তিতে। গ্রাহক চাইলে কম মেয়াদের ঋণও নিতে পারেন। ব্যাংকগুলো একটি মোটরসাইকেলের দামের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেয়। পরিমাণ সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা। ঋণ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সরাসরি ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করে ঋণ আবেদন করতে পারেন। কিছু কিছু মোটরসাইকেল বিক্রয়কেন্দ্রেও ঋণের আবেদনের ব্যবস্থা আছে।

ঋণ আবেদনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) ও ব্যবসায়িক কার্ড বা অফিস আইডির ফটোকপি, বেতন বা আয়ের সনদ, পরিষেবা বিলের কপি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা হিসারের বিবরণী ইত্যাদি নথি প্রয়োজন হয়। ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স এবং বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকের ভাড়ার নথি জমা দিতে হয়।