ট্যানারিশিল্পের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি কাঠামো ১১ মাসেও চূড়ান্ত না হওয়ার পেছনে মালিকদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতারা। তাঁরা ট্যানারিশ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন।
শ্রমিকনেতারা বলেন, নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষণায় বিলম্ব শিল্পের স্থিতিশীলতা এবং কল্যাণের জন্য ক্ষতিকারক; যা কিনা ট্যানারিশ্রমিকদের চলমান আর্থিক দুরবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। অনেক শ্রমিক এখন ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতারা এসব কথা বলেন। ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) যুগ্ম সমন্বয়কারী নইমূল আহসান জুয়েল ও বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা।
বাংলাদেশ ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ট্যানারিশ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি বোর্ডের প্রথম সভা গত বছরের ১৭ আগস্ট হয়েছিল। ষষ্ঠ সভা আগামী ২২ জুলাই হওয়ার কথা। ওই দিন মজুরি বোর্ডের বয়স হবে ১১ মাস ৫ দিন। অথচ দেশের শ্রম আইন অনুযায়ী নিম্নতম মজুরির সুপারিশ বোর্ড গঠন হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তা চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে জমা দিতে হয়।
ইউনিয়ন নেতারা আরও বলেন, ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাবটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত অ্যাংকর মেথোডলোজি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ৫২ জন শ্রমিকের ওপর জরিপ, ১০ জন করে ৪টি গ্রুপে ৪০ জন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন এবং ৪ জন শ্রমিকের কেস স্টোরি অন্তর্ভুক্ত আছে। এই পদ্ধতি মজুরি সুপারিশ বাস্তবসম্মত ও বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে নিশ্চিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ট্যানারিশ্রমিকদের জন্য সর্বশেষ ২০১৮ সালে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়। তারপর প্রতিবছর মজুরি ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হয়। এতে চলতি বছর সেই মজুরি বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৫৪৮ টাকা।