রপ্তানিমুখী ৩ হাজার ৬৩০টি তৈরি পোশাক কারখানার তথ্য-উপাত্ত ম্যাপড ইন বাংলাদেশের (এমআইবি) ডিজিটাল ম্যাপ বা মানচিত্রের আওতায় এসেছে। এসব কারখানায় কাজ করেন ২৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৯ শ্রমিক।
গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ডিজিটাল ম্যাপে যুক্ত হওয়া ৩ হাজার ৬৩০ পোশাক কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৭৩৫টি তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য। বাকি ৮৯৫টি কারখানা বিজেএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য নয়। এমআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) পাঁচ বছর মেয়াদি ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ করছে। এটি ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। এমআইবি প্রকল্পটি লডেস ফাউন্ডেশন ও নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এই প্রকল্পের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়া কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরও (ডিআইএফই) সহায়তা দিচ্ছে।
এমআইবির উদ্দেশ্য হচ্ছে—রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের কারখানাগুলোর সঠিক, বিশ্বাসযোগ্য ও হালনাগাদ করা তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা। যাতে এই খাতে বেশি দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়।
ম্যাপড ইন বাংলাদেশ সম্প্রতি জানায়, দেশের ৩ হাজার ২১২টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬১ জন শ্রমিক। তার মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক ও ৫৮ শতাংশ নারী শ্রমিক।
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যবিহীন ৫৫৫টি পোশাক কারখানার ওপর জরিপে দেখা যায়, করোনাকালের শুরুর দিকে কারখানাগুলোতে কর্মরত ছিলেন ৮৬ হাজার ৬৯৭ জন শ্রমিক। ওই সময়ে ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন ৫৮ হাজার শ্রমিক।