বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে নারায়ণগঞ্জে। এ লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
জেলার জালকুড়ি এলাকায় ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্প স্থাপনের দর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম পড়বে ১৭ দশমিক ৬০৪ টাকা।
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে নারায়ণগঞ্জে। এ লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। জেলার জালকুড়ি এলাকায় ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্প স্থাপনের দর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নাসিমা বেগম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম পড়বে ১৭ দশমিক ৬০৪ টাকা। এ হিসাবে ২০ বছর মেয়াদে পরিশোধ করতে হবে ১ হাজার ৬৬৫ কোটি ৪৮ টাকা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ইউডি এনভায়রনমেন্টাল ইকুইপমেন্ট কোম্পানি, এভারব্রাইট এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন টেকনিক্যাল ইকুইপমেন্ট (চাংঝো) এবং এসএবিএস সিন্ডিকেটের কনসোর্টিয়াম। জানা গেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শুধু বিদ্যুৎই পাওয়া যাবে না, পরিবেশদূষণও কমবে।
এটিসহ মোট ২ হাজার ৭২৯ কোটি ৬৪ হাজার টাকার ৭টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। এর মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট) (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দুটি লটে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৭২০টি এসপিসি পোল সংগ্রহ করার একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি এসব এসপিসি পোল সরবরাহ করবে।
ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদনও দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে জেনট্রেড এফজেডই, ইউএইয়ের স্থানীয় এজেন্ট দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের কাছ থেকে ২ লটে ২০ হাজার টন এবং সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, দুবাই, ইউএইয়ের স্থানীয় এজেন্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুটের কাছ থেকে বাকি ১০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড সংগ্রহ করা হবে।
নাসিমা বেগম বলেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ ৫ লাখ ৫০ হাজার টন ইউরিয়া সারের মধ্যে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি টনের দাম ২৬২ দশমিক ৬২৫ ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৬ কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদনও দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে জেনট্রেড এফজেডই, ইউএইয়ের স্থানীয় এজেন্ট দেশ ট্রেডিং করপোরেশনের কাছ থেকে ২ লটে ২০ হাজার টন এবং সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, দুবাই, ইউএইয়ের স্থানীয় এজেন্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুটের কাছ থেকে বাকি ১০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড সংগ্রহ করা হবে। ৩টি লটে এসব পণ্য আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৩ লাখ ১১ হাজার মার্কিন ডলার বা ৮৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
রাশিয়ান ফেডারেশন হতে সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে ২ লাখ টন গম আমদানির একটি প্রস্তাবও অনুমোদিত হয় গতকাল। প্রতি টন ২৫৮ মার্কিন ডলার হিসাবে এতে ব্যয় হবে ৫ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার বা ৪৩৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
‘কুড়িগ্রাম (দাসেরহাট)-নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ফুটপাত, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজের একটি ক্রয় প্রস্তাব বেশ কিছু শর্তে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য ব্যয় হবে ১৪৫ কোটি ৬৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড।