ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইমমুভারচালকদের আহূত পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ১৫ দফা দাবিতে সারা দেশে ৩ দিনের ধর্মঘট পালন করছেন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইমমুভারের শ্রমিক-চালকেরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ ধর্মঘট পালিত হয়।
বন্দরে চালক-শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ, যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে ঘুষ-বাণিজ্য বন্ধ, করোনা মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক পরিবহনশ্রমিকদের নগদ আর্থিক সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনা, সড়ক-মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্যসামগ্রী চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট আহ্বান করে বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ ছিল। তবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ট্রাকে করে বন্দর জেটিতে থাকা স্ক্র্যাপ ও সিমেন্ট ক্লিংকারবাহী জাহাজ থেকে পণ্য পরিবহন করেছে।
বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহাম্মদ গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ দফা দাবিতে তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন। ধর্মঘটের কারণে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইমমুভার ট্রেইলার চলাচল বন্ধের পাশপাশি বন্দরের ভেতরে গাড়ি প্রবেশও বন্ধ ছিল। আর দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বন্দরের কার্যক্রমে কিছু প্রভাব পড়েছে। বন্দরের ভেতরে গাড়ি প্রবেশ না করায় পণ্য সরবরাহ হয়নি। বন্দরের জেটিতে থাকা জাহাজগুলো থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে সিমেন্ট ক্লিংকারসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন অব্যাহত রেখেছে। তাই এখনই বন্দরে কনটেইনারজট হওয়ার আশঙ্কা কম।