দেশে যত ধরনের এসি পাবেন

রাজধানীর গুলিস্তানে স্টেডিয়াম মার্কেটের একটি বিক্রয়কেন্দ্রে এসি দেখছেন ক্রেতারা
 ছবি: খালেদ সরকার

শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি কেনার সময় ভাবছেন, কোন ধরনের এসি কিনবেন। কাঠামো বা ডিজাইন তো বটেই, এর সঙ্গে ভাবতে হবে কেমন হবে তার প্রযুক্তি। প্রযুক্তির বিবেচনায় বাজারে আপনি দুই ধরনের এসি কিনতে পাবেন। ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসি।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। সংগত কারণে বাজারে এখন এই প্রযুক্তির এসির চাহিদাও বেশি। এ ধরনের এসি প্রথমে পূর্ণ শক্তিতে চালু হয়। পরে ঘরের আরামদায়ক তাপমাত্রা ঠিক রেখে যন্ত্রটি শক্তি খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।

গুলিস্থানের পারভেজ ইলেকট্রনিকসের বিক্রয়কর্মী পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘ক্রেতাদের কাছে এখন ইনভার্টার এসি বেশি পছন্দ। কারণ, এই এসিতে সেন্সর থাকে, যা কমপ্রেসর পুরোপুরি বন্ধ করে না। বিদ্যুৎ খরচ কম ও পরিবেশবান্ধব। অন্যদিকে নন-ইনভার্টার এসির চাহিদা কমে আসছে।’ অবশ্য বাসাবাড়ি বা স্বল্প ব্যবহারের জন্য বাজেট কম থাকলে ক্রেতাদের নন-ইনভার্টার এসি স্থাপনের পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে কাঠামোগত বিবেচনায় নানা ধরনের এসি বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে স্পিল্ট, ক্যাসেট, উইন্ডো ও পোর্টেবল (স্থানান্তর যোগ্য) এসি অন্যতম।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও শপিং মলগুলোতে ঘুরে জানা যায়, দেশে বিক্রি হওয়া এসির সিংহভাগ স্পিল্ট। বাসাবাড়ি ও অফিসের ছোট কক্ষে এসব এসির ব্যবহার বেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত এসির মধ্যে ক্যাসেট ও উইন্ডো এসির ব্যবহার বেশি। এ ছাড়া দেশের বাজারে পাওয়া যায় হালের স্থানান্তর যোগ্য পোর্টেবল এসি।

স্মার্ট এসি: বর্তমানে এসিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আয়োনাইজার প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি সংযোজনের ফলে রুমে বাতাস হবে ধুলাময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। আবার আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) সংযোজনের ফলে মুঠোফোনের অ্যাপ্লিকেশন কিংবা মুখের কথায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে এসি।

মূলত, এসব বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত এসি দিচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। খুব বেশি টেকসই প্রযুক্তি না হলেও গ্রাহকপ্রিয়তা পাচ্ছে। এ ছাড়া ফোর-ডি এয়ারফ্লো (ডান-বাম-ওপর-নিচ—চার দিকে সমানভাবে বাতাস দেয়) প্রযুক্তি-সংবলিত এসি আছে দেশের বাজারে।

আই-সি টেকনোলজির বিশেষায়িত এক এসি বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে ট্রান্সকম ডিজিটাল। এই এসি কক্ষে থাকা ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করে ওই নির্দিষ্ট জায়গা ঠান্ডা করবে। কক্ষ থেকে কেউ বের হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যন্ত্রটি বন্ধ হয়ে যাবে। এ বছরের কোনো এক সময় বিশেষায়িত এই এসি বাজারে নিয়ে আসবে প্রতিষ্ঠানটি।