দাম বাড়ানো নয়, প্রয়োজনে রেস্তোরাঁশিল্পে গ্যাসের দাম কমানোর দাবি তুলেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবিও উত্থাপন করেছে সংগঠনটি।
গত সোমবার সংগঠনটির সভাপতি মো. ওসমান গনি ও প্রথম যুগ্ম মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানায় তারা।
সংগঠনটি বলছে, ২০১৫ সালের পর তিন দফায় কোম্পানিগুলো চক্রবৃদ্ধি হারে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটর কমিশন এক গণশুনানির আয়োজন করে। সেখানে আবারও ১১৭ শতাংশ হারে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
প্রতিষ্ঠানটি যে পাঁচ দফা দাবি সরকারের কাছে পেশ করেছে, তাতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তালিকায় ক্ষুদ্রশিল্প হিসেবে রেস্তোরাঁশিল্পকে স্থান না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি ও বরাদ্দকৃত গ্যাস–সংযোগ অন্যত্র স্থানান্তরের সুবিধা চেয়েছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা।
গ্যাসের দাম কমানোর দাবি তুলে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বলছে, এটি সাধারণ মানুষের খাবার পরিবেশনে যুক্ত একটি সেবামূলক খাত। অভিজাত শ্রেণির রেস্তোরাঁ না হওয়ায় গ্যাসের দাম বাড়লে এসব রেস্তোরাঁয় কেউ খেতে আসবে না। তাতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
অন্যদিকে অভিজাত রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা গ্যাসের বিল কম দেওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ সাধারণ রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক হারে উচ্চ মূল্যে গ্যাসের বিল দিতে হচ্ছে। যা কোনোক্রমেই যুক্তিসংগত নয় বলে উল্লেখ করেন রেস্তোরাঁ সমিতির নেতারা।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ঢাকা শহর ও এর আশপাশের এলাকায় অবৈধ গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন পড়বে না। এ ছাড়া গ্যাস কোম্পানিগুলো ২০১৪ সাল থেকে নতুন সংযোগ স্থাপন, চাপ বৃদ্ধি ও সংযোগ স্থানান্তরের বিষয়টি স্থগিত করে বাড়াবাড়ি করছে। এতে করে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ২০১৪ সালের নীতিমালাটি সংশোধনপূর্বক আবারও নতুন সংযোগ স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান তাঁরা।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সরকারের কাছে তিতাস গ্যাস অফিসে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের জমাকৃত অর্থ এফডিআর হিসাবে (ফিক্সড ডিপোজিট) জমা রাখার দাবি জানিয়েছে।