আপনার সন্তানের জন্য বাজার থেকে স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান কিংবা ডোরেমনের মতো দেখতে কোনো খেলনা কিনলেন। আপনার হয়তো মনে হতে পারে, এটা চীনের তৈরি খেলনা। কিন্তু একটু পরখ করে দেখলেই তাতে লেখা দেখবেন ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। এর অর্থ হচ্ছে, এসব খেলনা এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে।
আপনার সন্তানের জন্য বাজার থেকে স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান কিংবা ডোরেমনের মতো দেখতে কোনো খেলনা কিনলেন। আপনার হয়তো মনে হতে পারে, এটা চীনের তৈরি খেলনা। কিন্তু একটু পরখ করে দেখলেই তাতে লেখা দেখবেন ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। এর অর্থ হচ্ছে, এসব খেলনা এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) বলছে, দেশে এখন শতাধিক প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিকের খেলনা তৈরি করছে। এদের মধ্যে ১০ থেকে ১২টি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বেশ বড় প্রতিষ্ঠান। এসব খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এখন দেশের মোট খেলনার প্রায় ৯০ শতাংশ চাহিদা মেটাচ্ছেন। বাকিটা আমদানি হচ্ছে। আমদানি করা খেলনাগুলোর অধিকাংশের দাম তুলনামূলক বেশি, তবে মানে ভালো।
দেশেও এখন ভালো মানের খেলনা তৈরি হচ্ছে। শুধু তৈরি হচ্ছে বললে ভুল হবে, দেশের তৈরি এসব খেলনা এখন বিদেশের বাজারে রপ্তানিও হচ্ছে। তাতে দেশের রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ ঝুড়িতে নতুন আশা দেখাচ্ছে প্লাস্টিকের খেলনা। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্লাস্টিকের খেলনা রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের রপ্তানি আয়ে বড় ভূমিকা রাখবে প্লাস্টিকের খেলনাসামগ্রী। সে জন্য এই খাতের ওপর আলাদা করে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রপ্তানিমুখী প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা।
বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে দেশ থেকে মোট প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির ২৯ শতাংশ আয়ই এসেছে খেলনা থেকে। এই সময়ে খেলনা রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ। বাংলাদেশের প্লাস্টিক রপ্তানি মোটামুটি ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে। করোনার মধ্যে গত ২০২০-২১ অর্থবছরেও প্লাস্টিক খাতের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য বলছে, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খেলনা রপ্তানিতে বাংলাদেশের আয় ছিল মাত্র ১ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৯৩ টাকা ধরে হিসাব করলে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) খেলনা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৭১ লাখ ডলার। অর্থাৎ, গত ছয় বছরে বিশ্ববাজারে খেলনা রপ্তানিতে বাংলাদেশের আয় বেড়ে প্রায় আড়াই গুণ হয়েছে।
প্লাস্টিক খাতের উপখাত খেলনায় বাংলাদেশ বেশ ভালো করছে। দেশে খেলনার ব্যবহারও দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে এখন বলতে গেলে খেলনা প্রায় আমদানিই করতে হয় না। সম্ভাবনাময় এ খাত আরও একটু সহযোগিতা পেলে দ্রুত এগিয়ে যাবে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত খেলনা রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল। করোনাকালে রপ্তানির গতি একটু কমলেও আবার তা চাঙা হতে শুরু করেছে।
বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ‘এবারের বাজেটে খেলনার কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানোর দাবি করেছিলাম। এবারের বাজেটে সরকার বেশ কিছু উপকরণে সেটা কমিয়েছে। তবে কিছু উপকরণে উল্টো সম্পূরক শুল্ক বসিয়েছে। এতে সরকারের আয় যে খুব বেশি বাড়বে, তা নয়। তবে এই সম্পূরক শুল্ক কমালে অভ্যন্তরীণ বাজার আরও শক্তিশালী হবে। কোম্পানিগুলো রপ্তানিতে মনোযোগ দেবে।’
খেলনার শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছে হাসি টাইগার কোম্পানি। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন শুরু করে। ওই বছরই প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিও শুরু হয়। রপ্তানি বাজারের জন্য তৈরি করা তাদের অধিকাংশ খেলনা পোকেমন ধরনের। দূরনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে পরিচালিত কিংবা যন্ত্রচালিত খেলনা তৈরি এখনো শুরু করেনি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির খেলনা তৈরির কাঁচামাল আসে চীন থেকে। আর মোড়কজাত করার উপকরণ সংগ্রহ করা হয় দেশের বাজার থেকে।
কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান ও হংকংয়ে খেলনা পণ্য রপ্তানি করে থাকে। প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ লাখ মার্কিন ডলারের খেলনা প্রস্তুত করার সক্ষমতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। তাতে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ খেলনা প্রস্তুত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন কর্মরত আছেন প্রায় সাড়ে চার শ মানুষ।
প্রতিষ্ঠানটির কারখানা ব্যবস্থাপক নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার মধ্যে গত দুই বছর ব্যবসায় মন্দাভাব ছিল। এখন পরিস্থিতি বেশ ভালো। যেভাবে ক্রয়াদেশ আসছে, তাতে চলতি বছর আমাদের সক্ষমতার পুরোটা উৎপাদনে যেতে হবে। আশা করছি ২০ লাখ ডলারের মতো খেলনা রপ্তানি করতে পারব। এ জন্য নতুন করে কারখানায় কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের ৬৫ শতাংশই নারী।’
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, খেলনা তৈরি একটি শ্রমঘন শিল্প। তৈরি পোশাকের মতো তাই এ শিল্পেও প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। আর খেলনার বিশ্ববাজারের আকারও বিশাল। বাংলাদেশ খুব ছোট পরিসরে এ বাজারে প্রবেশ করেছে। মজুরি বেড়ে যাওয়ায় চীনে খেলনা তৈরির খরচ এখন অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে বিদেশি খেলনা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের মতো দেশে কারখানা গড়তে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তাতে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। এ ছাড়া দেশীয় অনেক উদ্যোক্তাও এখন খেলনার বাজারে বড় বিনিয়োগ নিয়ে আসছে। এতে এ খাতে কর্মসংস্থানের ভালো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া প্লাস্টিকের খেলনার সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ রপ্তানি হয় ইউরোপের দেশ স্পেনে। রপ্তানি বাজারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি ও ফ্রান্স। এই দুই দেশে খেলনা রপ্তানির হিস্যা হচ্ছে যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই তিনটি দেশের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোয় এখন বাংলাদেশি খেলনার ব্যাপক চাহিদা। বিশেষ করে জাপানে বাংলাদেশের তৈরি খেলনার একটা বড় বাজার তৈরি হয়েছে। প্রতিবছরই বাংলাদেশি খেলনার রপ্তানি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
২০১১ সালের দিকে যেখানে বছরে মাত্র সাত হাজার ডলারের মতো খেলনা রপ্তানি হতো, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলারে। প্লাস্টিকের খেলনা রপ্তানিতে ১৬ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি ধরলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশে তৈরি খেলনার রপ্তানি বাজার ১৫ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি খেলনার চাহিদা বাড়তে থাকায় এ দেশে খেলনা তৈরির কারখানা নির্মাণে বিনিয়োগেও আগ্রহী হয়ে উঠছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) এবং এর বাইরে বেশ কয়েকটি রপ্তানিমুখী খেলনার কারখানাও এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে।
দেশের প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ দেশে প্লাস্টিক পণ্যের বিকাশ ঘটে খেলনাসামগ্রী ও ক্রোকারিজ পণ্যের হাত ধরে। কিন্তু ব্যবসার শুরুতে এক ব্যবসায়ীর পণ্য অন্য ব্যবসায়ী নকল করার ফলে অনেকে ক্ষতির মুখে পড়েন। এ শিল্পে তখন উদ্ভাবনের কোনো স্বীকৃতি ছিল না। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হতো। এটা নিয়ে প্রায়ই সালিসে বসতে হতো বিপিজিএমইএকে।
এরপর সমস্যা সমাধানে মেধাস্বত্ব নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে খেলনা পণ্য নকল করার প্রবণতাও কমে আসে। এখনো যে কিছু কিছু খেলনা নকল হয় না, তা নয়। তবে অহরহ খেলনা পণ্য নকল করার প্রবণতা এখন অনেকটা কমে এসেছে। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির বাইরে ছোট কোম্পানিগুলোও এখন গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ চালু করেছে। এতে প্লাস্টিক খেলনা শিল্পের অভ্যন্তরীণ বাজার শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বাড়ছে রপ্তানি।
বিপিজিএমইএর তথ্য বলছে, ১৯৯৮ সালে মাত্র নয়টি খেলনার মেধাস্বত্ব নিবন্ধন (পেটেন্ট) করা হয়। এখন দেশে প্লাস্টিক খেলনার মোট মেধাস্বত্ব রয়েছে ২ হাজার ৫৫৮টি। আর চলতি ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত নিবন্ধন পেয়েছে ৭১টি প্লাস্টিকের খেলনা। এই সময়ে নিবন্ধন বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার বেশি।
বৈশ্বিক সংগঠন দ্য টয় অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিকভাবেও খেলনার বাজার প্রতিবছরই বড় হচ্ছে। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী খেলনা বিকিকিনি হয়েছে ১০৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১০ হাজার ৪২০ কোটি ডলার। ২০২০ সালের তুলনায় এ বাজার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালে এই বাজার ছিল ৮ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, গত ছয় বছরে খেলনার বৈশ্বিক বাজারের আকার বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। এই বাজারের বড় অংশই এখন চীনের দখলে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা পিআর নিউজওয়্যারের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীনের তৈরি খেলনার বাজার ছিল ৪ হাজার ৩৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, বৈশ্বিক খেলনা বিক্রির প্রায় অর্ধেকই করে থাকে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের এই বাজার ২০২৬ সাল নাগাদ ৬ হাজার ১৩০ কোটি ডলার উন্নীত হবে।
উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে চীনের খেলনার বাজার ক্রমেই আরও বড় ও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চীনের ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা ঐতিহ্যবাহী খেলনা থেকে এখন যন্ত্রনির্ভর খেলনা তৈরিতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এতে বিশ্ববাজারে তাদের আধিপত্য আরও শক্তিশালী হয়েছে।
খেলনাশিল্পের বড় অংশটা এখনো পুরান ঢাকা, কামরাঙ্গীরচর ও তার আশপাশের কিছু এলাকাকে কেন্দ্র করে। তবে ঢাকার বাইরে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামেও খেলনার কারখানা গড়ে উঠেছে। শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ইপিজেডে।
তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও ব্যস্ততম খেলনার বাজার পুরান ঢাকার চকবাজারে। ঐতিহাসিকভাবেই চকবাজার রকমারি পণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত। তবে এখন পুরো চকবাজারেই গড়ে উঠেছে খেলনার কয়েক শ পাইকারি দোকান। সারা দেশের শহরকেন্দ্রিক বড় বড় দোকানের পাশাপাশি গ্রামগঞ্জেও খেলনার বেচাকেনা হয়। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মৌসুমি যে মেলা বসে, খেলনাসামগ্রীর একটা বড় অংশ বিক্রি হয় ওই সব মেলায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক বছর আগেও প্লাস্টিকের খেলনার প্রায় পুরোটাই আসত চীন থেকে। কিন্তু এখন সেটা ১০ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে খেলনার বাজারে এখন দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি খেলনা। শুরুতে খুব ছোট কিছু খেলনা দিয়ে শুরু হলেও এখন বড় আকারের প্লাস্টিকের খেলনাও বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে। খেলনা প্রস্তুতকারকেরা বলছেন, দেশীয় খেলনার মান আগের চেয়ে বেড়েছে এবং অনেকেই এখন বড় পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে একসময় ব্যবসা ছিল বছরে দুই থেকে তিন মাস। কিন্তু এখন সারা বছরই কমবেশি খেলনা বিক্রি হয়। আর এই সুযোগ ব্যবহার করে অনেক ছোট উদ্যোক্তা এগিয়ে আসছেন এই শিল্পে।
২৫–৩০ জনের কর্মসংস্থান হবে, এমন একটি খেলনার কারখানা দেশে গড়ে তুলতে জমি ও ভবন বােদ ১ েথকে দেড় কোটি টাকা প্রাথমিক বিনিয়োগ লাগতে পাের।