প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪৫–২৫০ টাকায়। আজ ঢাকার কারওয়ান বাজারে
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪৫–২৫০ টাকায়। আজ ঢাকার  কারওয়ান বাজারে

অবশেষে ব্রয়লার মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে

পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৪৫-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ৩৫০-৩৬০ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এই বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম ছিল ৩৬০-৩৮০ টাকা।

কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি আজ ২৪৫–২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীর্ষ চার প্রতিষ্ঠানের দাম কমানোর ঘোষণায় মুরগির দাম কমেছে কি না, এমন প্রশ্ন করলে কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকে বলে মুরগির চাহিদা কমে গেছে।

তাই দাম কিছুটা কমেছে। ফার্ম থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় মুরগি বিক্রি করলেও খুচরায় ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে বলে দাবি করলেন তাঁরা।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় কারওয়ান বাজার গিয়ে দেখা গেল, মুরগির দোকানে ভিড় তুলনামূলক কম। একইভাবে সবজির বাজারেও ক্রেতা কম। তবে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

সোহাগ হোসেন নামের এক বিক্রেতা ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকা দাম চাচ্ছেন। আজকে পাইকারি বাজার থেকে কত দামে মুরগি কিনেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্রয়লার ২৩৫ আর সোনালি ৩৪০ টাকা কিনেছি।’

দু–একটি দোকান পরেই মো. ইব্রাহিম নামের এক বিক্রেতা ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৬০ আর সোনালির দাম ৩৬০ টাকা দর হাঁকছেন। শীর্ষ চার প্রতিষ্ঠানের দাম কমানোর ঘোষণার কী প্রভাব পড়ল, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসল জায়গায় (পাইকারি বাজার) না কমলে আমরা কী করব। সেখানে কমলে আমরাও কমে দেব।’

মুরগি বিক্রির এক দোকানের মূল্যতালিকায় দেখা গেল, ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকা। সেই ছবি তুলতে গেলে দোকানি বদল আলী বললেন, ‘ভাই এটা কালকের দাম। আজকে ব্রয়লার ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আর সোনালি ৩৬০ টাকা। পাইকারিতে দাম কিছুটা কমায় আমরাও দাম কমিয়েছি।’

মুরগির বাজার থেকে সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেল, লেবুর দাম চড়া। ছোট আকারের একেকটি লেবু ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের লেবুর হালি ৬০ টাকা। আর বড় আকারের লেবুর হালি ১০০-১১০ টাকা। নতুন করে শসা ও বেগুনের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি শসা ৭০-৮০ টাকা। তবে বাজারে ঘুরে দুই-এক দিনের পুরোনো শসা ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি কেনা যাচ্ছে। আর বেগুনের কেজি ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে ৬০ টাকা কেজির বেগুনও আছে।

সবজি বিক্রেতা মো. মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, ‘শসা আর বেগুনের দাম বেড়েছে। গতকাল বেগুন ৬০ টাকা কিনে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ পাইকারিতেই কিনেছি ৮০ টাকায়। তো ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি না করলে তো পোষাবে না। আর গতকাল ৫৫-৬০ টাকায় কেনা শসা ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ শসা পাইকারিতেই কিনতে হয়েছে ৭০ টাকায়। এখন ৮০ টাকার নিচে বিক্রি করলে তো টিকতে পারব না।’