রাজধানীর বিভিন্ন খোলাবাজারে আজ বৃহস্পতিবার ৪০-৫০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি হয়েছে। তবে সুপারশপ স্বপ্নের আউটলেটে শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২ টাকা কেজি। অর্থাৎ খোলাবাজারের চেয়ে সাশ্রয়ী দামে গ্রাহকদের কাছে শসা বিক্রি করছে স্বপ্ন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মজুত স্টক থাকা পর্যন্ত ক্রেতারা এই অফার পাবেন।
মূলত প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি শসা কেনায় অপেক্ষাকৃত কম দামে তা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বপ্ন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বপ্ন বলেছে, পবিত্র রমজান মাসে শসার বাজার চড়া ছিল। তবে রোজা শেষে শসার দাম কমে গেছে। এতে বর্তমানে শসাচাষিরা বেশ বিপাকে পড়েছেন এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে শসাচাষিদের থেকে সরাসরি পণ্য কেনার পদক্ষেপ নিয়েছে সুপারশপটি।
স্বপ্ন জানিয়েছে, সম্প্রতি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসাচাষিরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয়, ওই চাষিরা পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা মাত্র দুই থেকে চার টাকায় বিক্রি করছেন।
পরে স্বপ্নের পক্ষ থেকে খানসামাসহ কয়েকটি এলাকার চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় খানসামার ওই এলাকা থেকে দুই টন ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ছয় টন শসা ন্যায্যমূল্যে কেনেন স্বপ্নের প্রতিনিধিরা। সেই শসাই এখন ১২ টাকা কেজি বিক্রি করছে স্বপ্ন।
চলতি বছর প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলেন দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে এক লাখ টাকা খরচ হয় তাঁর। সাকিব হোসেন বলেন, ‘১০ রোজা পর্যন্ত ভালো দামে কিছু শসা বিক্রি হয়। এরপর বাজারে শসার দাম কমে যায়। দাম কমতে থাকায় পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি শসা ১০ টাকা ও পরে ৫ টাকায় বিক্রি হয়। পরবর্তী সময়ে দাম আরও কমে যায়। পাশাপাশি অনেক শসা নষ্টও হয়ে গেছে। তবে স্বপ্নের পক্ষ থেকে শসা কেনায় আমরা বড় লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।’
এ বিষয়ে স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরে তাদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেছি। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। অন্য ব্যবসায়ীদেরও একইভাবে কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান করব আমরা।’
স্বপ্নের হেড অব পারচেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকের পাশে স্বপ্ন এর আগেও দাঁড়িয়েছিল। ভবিষ্যতেও এভাবে পাশে থাকবে।