রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, এমন খবরকে ‘গুজব’ ও ‘মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
আজ রোববার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটি গুজব ও মিথ্যা। এ বিষয়ে আমাদের কোম্পানি রোসাটম (রূপপুর প্রকল্পে কাজ করছে) ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে।’
ঢাকার শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা হয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, ‘চিন্তা করুন, ৫০০ কোটি ডলার, এটি বিশাল অঙ্ক। যখন প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে, তখন কাউকে এ বিশাল অঙ্কের অর্থ দেওয়া হয়েছে, এটি কীভাবে সম্ভব? গত নির্বাচনের আগে থেকে এমন কথা ছড়ানো হচ্ছে। রাশিয়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেয় করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ২০১৬ সালে উভয় পক্ষের মধ্যে ঋণচুক্তি হয়। ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড শেষে ২০২৭ সালের ১৫ মার্চ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের মূল কিস্তি (আসল পরিশোধ) শুরু হওয়ার কথা। প্রতিবছর ছয় মাস পরপর দুই কিস্তিতে মোট ৩৮ কোটি ডলার আসল পরিশোধ করতে হবে। এর সঙ্গে ১১ কোটি ডলার সুদ। অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুদ ও আসলের পরিমাণ কমবে বা বাড়বে। এদিকে রাশিয়ার ঋণের কিস্তি দুই বছর পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৯ সালের মার্চে এই কিস্তি পরিশোধ নিয়ে আলোচনা চলছে।
রাশিয়ার ঋণের আসল পরিশোধ দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত কোনো উত্তর দেননি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিও বাড়াতে চায় রাশিয়া।