দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কমবেশি বেড়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশপাশে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, বিভিন্ন ধরনের মাছ, ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দামও আগের তুলনায় বেশি।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বেড়েছে। আর হঠাৎ করে সবজি, ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও তালতলা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গতকাল সকালে ঢুকতেই সবজির বাড়তি দামের আঁচ পাওয়া গেল। দাম নিয়ে এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে তর্কে জড়ান স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল করিম। তিনি সেখান থেকে ১৪০ টাকা দরে আধা কেজি বরবটি ও ১৫০ টাকা দরে এক কেজি বেগুন কিনেছেন। নুরুল করিম বলেন, এক সপ্তাহ আগেই বেগুন ও বরবটির দাম ১০০ টাকার আশপাশে ছিল।
গতকাল বাজারভেদে করলা, ঝিঙা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোল, ঢ্যাঁড়স ৮০–১০০ টাকায়; কাঁকরোল ১০০–১২০ টাকায়; বরবটি ১৩০–১৪০ টাকায়, ধরনভেদে বেগুন ১০০–১৬০ টাকায় ও টমেটো ২৬০–২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সবজির মধ্যে ৫০ টাকার নিচে দাম রয়েছে পেঁপের, কেজি ৪০ টাকা। অবশ্য কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারে সবজির এ দাম আরও কিছুটা কম।
এদিকে দুই সপ্তাহ আগেও বাজারে ১৮০–২২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কেনা যেত। গতকাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৩২০–৩৫০ টাকায় মরিচ বিক্রি হয়েছে। মাঝখানে মরিচের দাম ৫০০ টাকাও ছুঁয়েছিল। বাজারে ধনেপাতার দামও চড়া; প্রতি কেজি ৪০০–৫০০ টাকা। এ ছাড়া কলমিশাক, লালশাক, ডঁাটাশাক, পুঁইসহ বিভিন্ন শাকের দামও (মুঠি) ১০–১৫ টাকা করে বেড়েছে। মসলা পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০–১২৫ টাকায় ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০–১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আদা, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সবজি বিক্রেতা আব্বাস আকন্দ বলেন, ‘বেশি দামের কারণে গ্রাহকেরা আগের তুলনায় কম পরিমাণে সবজি কিনছেন। আর বিক্রি যত কম হয়, আমাদের লাভের পরিমাণও কমে যায়।’