২০০০ সাল–পরবর্তী দেড় যুগে ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টের দাম সাড়ে ৫ গুণের বেশি বেড়েছে। ২০০০ সালে এই শহরে অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গফুটের গড় দাম ছিল ২ হাজার ৫৯ টাকা। আর ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৩৬ টাকা। এর পরের বছরগুলোতে অ্যাপার্টমেন্টের দাম আরও বেড়েছে।
চাহিদা বাড়তে থাকায় রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছরই অ্যাপার্টমেন্টের দাম বাড়ছে। এর সঙ্গে নির্মাণসামগ্রীর উচ্চ মূল্য যোগ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রড–সিমেন্টের দাম কমেছে। তবে অ্যাপার্টমেন্টের দাম সেভাবে কমেনি।
আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা বলছেন, ঢাকায় চাহিদার তুলনায় জমি খুবই কম। জমির দামও আকাশছোঁয়া। এর সঙ্গে নির্মাণসামগ্রীর উচ্চ মূল্য যোগ হওয়ায় ফ্ল্যাটের দাম বেশি পড়ছে। চাহিদার তুলনায় অ্যাপার্টমেন্টের জোগান কম হওয়ার কারণেও ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে।
রাজধানীতের ফ্ল্যাটের দাম কত বাড়ছে, তা নিয়ে আবাসন খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান শেলটেকের গবেষণা রয়েছে। তাদের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সাল–পরবর্তী দেড় যুগে ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টের দাম সাড়ে ৫ গুণের বেশি বেড়েছে। ২০০০ সালে এই শহরে অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গফুটের গড় দাম ছিল ২ হাজার ৫৯ টাকা। আর ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৩৬ টাকা। এর পরের বছরগুলোতে অ্যাপার্টমেন্টের দাম আরও বেড়েছে।
২০১৫ সালে ধানমন্ডিতে প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্টের গড় দাম ছিল ১২ হাজার টাকা, যা ২০১৮ সালে বেড়ে ১৫ হাজার টাকায় ওঠে। করোনা শুরুর পর মূল্যবৃদ্ধিটা একটু শ্লথ ছিল। তারপর আবার বেড়ে যায়। ২০২২ সালেও প্রথম সারির কোম্পানিগুলো প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্ট ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে, যা বর্তমানে ১৭ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।
রাজধানীর বনানীতে জায়গার স্বল্পতার কারণে নতুন করে আবাসন খুব একটা হচ্ছে না। এ কারণে সেখানকার অ্যাপার্টমেন্টের দাম অত্যধিক। অথচ ২০১৫ সালে বনানীতে প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্টের গড় দাম ছিল ১১ হাজার টাকা। ২০২২ সালে প্রথম সারির কোম্পানিগুলোর ফ্ল্যাট ১৩ হাজার ৫০০ থেকে ২২ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। সেই দাম এখন ১৮ হাজার থেকে ২৬ হাজার টাকা।
২০০০ সাল–পরবর্তী দেড় যুগে ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টের দাম সাড়ে ৫ গুণের বেশি বেড়েছে। ২০০০ সালে এই শহরে অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গফুটের গড় দাম ছিল ২ হাজার ৫৯ টাকা। আর ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৩৬ টাকা। এর পরের বছরগুলোতে অ্যাপার্টমেন্টের দাম আরও বেড়েছে।
বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠানের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে লালমাটিয়ায় প্রতি বর্গফুট অ্যাপার্টমেন্টের দাম ১৪ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। অথচ ২০০০ সালে এই এলাকায় ফ্ল্যাটের গড় দাম ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা।
দীর্ঘদিন মিরপুরে ফ্ল্যাটের দাম তুলনামূলক কম ছিল। তবে মেট্রোরেল চালু হওয়ার ফলে এই এলাকায়ও দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে মিরপুরে প্রথম সারির আবাসন কোম্পানিগুলো ৭ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাট বিক্রি করছে। ২০০৫ সালে মিরপুরে প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম ছিল আড়াই হাজার টাকা। ২০১০ সালে তা বেড়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা হয়।
আবাসন কোম্পানিগুলোর মালিকেরা বলছেন, নতুন ড্যাপের কারণে ঢাকার মধ্যাঞ্চলে আগের চেয়ে কম উচ্চতার ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া যাবে। এখানে দ্রুত পরিবর্তন না এলে শিগগিরই ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম আরেক দফা বাড়বে।