ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল ও মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আজ বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানি হচ্ছে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি)। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৫১৫ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম পড়বে ৬১৮ কোটি টাকা।
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে। ভারতের মণ্ডল স্টোন প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড এ চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৬৭ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
এদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫৬ কোটি টাকার চিনি ও মসুর ডাল কিনছে সরকার। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনা হচ্ছে ৫ হাজার টন চিনি ও ১০ হাজার টন মসুর ডাল। চিনি কেনা হচ্ছে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৮ টাকা ৪৩ পয়সা। সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে এ চিনি বিক্রি করা হবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের পায়েল ট্রেডার্স থেকে কেনা হচ্ছে ১০ হাজার টন মসুর ডাল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৯৬ টাকা ৬৯ পয়সা। এ মসুর ডালও টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে।
ক্রয় কমিটিতে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া ও ৩০ হাজার টন রক ফসফেট আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়। এতে ব্যয় হবে ৩৯৮ কোটি টাকা।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, যারা প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দেবে, দ্রুত দেবে ও মানসম্মত পণ্য দেবে, তাদের থেকেই পণ্য কেনা হবে। সেটা ভারত বা বিভিন্ন দেশ হতে পারে। ভারত ও মিয়ানমারের পাশাপাশি ভিয়েতনামের সঙ্গেও কথা হচ্ছে।
আগামী রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম একেবারে যে স্থিতিশীল নয়, সে বিষয়ে আমি সম্মত নই। দাম কমছে কিছুটা। চাল ও মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।’