এলএনজি
এলএনজি

দুই কার্গো এলএনজি আমদানি হবে, আসবে সিঙ্গাপুরের কোম্পানি থেকে

সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। এক কার্গোতে থাকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। এক কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ৫৭ মার্কিন ডলার। আরেক কার্গোতে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ১৩ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই এলএনজি সরবরাহের কাজ পেয়েছে সিঙ্গাপুরের গানভোর প্রাইভেট লিমিটেড। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৮৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে আজ বুধবার এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে জ্বালানির যাতে সমস্যা না হয়, সেটি আমরা দেখছি।’

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এলএনজি আমদানির সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমএসপিএ চুক্তি চূড়ান্ত করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার গত ৪ সেপ্টেম্বর সেগুলোই আবার নতুন করে অনুমোদন দেয়। দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে এক কার্গোর জন্য চারটি এবং আরেক কার্গোর জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হয় গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড।

চলতি মাসে পাঁচ কার্গো, নভেম্বরে পাঁচ কার্গো ও ডিসেম্বরে চার কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে। মোট ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়ার পর ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় এমএসপিএ অনুস্বাক্ষর করা হয়। আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষর করার অনুমোদন দেয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩–এ উন্নীত হয়।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভোর ও ভিটল এশিয়া, জাপানের জেরা, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেশি এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। ঘুষ দিয়ে কাজ পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ভিটল এশিয়া কালোতালিকাভুক্ত বলে জানা গেছে। ভিটল এশিয়ার বাংলাদেশি এজেন্ট সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের আত্মীয় বলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে অবস্থিত কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এবং মরক্কো ও সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া, ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৭৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা