আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করায় ২২টি প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদ দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআইয়ের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সনদ দেওয়া হয়।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে এই সনদ হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আমিন হেলালীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২২ প্রতিষ্ঠানকে চার ধরনের আইএসও সনদ দিয়েছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই। এর মধ্যে কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতির ওপর আইএসও ৯০০১: ২০১৫ সনদ পেয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হচ্ছে লোভেন বায়োসায়েন্স বেভারেজ, সেনাকল্যাণ ইলেকট্রনিকস, জে এইচ এম আগারউড, নাভেদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, আলমগীর কনস্ট্রাকশন, রানী রি-রোলিং মিলস, ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ, বেসিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, এবিএস কেব্লস, লাইফ মেড পলিমার টেকনোলজি, এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, হার্বস ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, এনেক্স লিমিটেড, এপেক্স মেটাল, নিতা কোম্পানি ও এবিসি কনস্ট্রাকশন কেমিক্যাল।
পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ওপর আইএসও ১৪০০১: ২০১৫ সনদ দেওয়া হয়েছে চারটি প্রতিষ্ঠানকে। এগুলো হচ্ছে জে এইচ এম আগারউড, পিওরিয়া ফুড প্রোডাক্টস, এবিএস কেব্লস ও এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
খাদ্য ব্যবস্থাপনার ওপর আইএসও ২২০০০: ২০১৮ সনদ পেয়েছে ভিটালেক ডেইরি অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, নওরিশ ফুডস, কেয়ার নিউট্রেশন, প্রাইম পুষ্টি ও জাভেদ অ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং। এ ছাড়া অকুপেশনাল হেলথ সেফটি ব্যবস্থাপনায় জে এইচ এম আগারউডকে আইএসও ৪৫০০১: ২০১৮ সনদ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উন্নত কর্মপরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব বিষয়ে কথা বলেন বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, ‘বিএসটিআই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের আইএসও সনদপ্রাপ্তির অর্থ পণ্যের মান ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে যত বেশি ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, দেশ তত বেশি উন্নত হবে। ইতিমধ্যে আমরা দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে হালাল সনদ দেওয়ার কার্যক্রমও শুরু করেছি।’