আগামীকাল বিশ্ব পর্যটন দিবস। দিবসটি ঘিরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে আরও বেশি পর্যটক টানতে সপ্তাহব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানের (বিচ কার্নিভ্যাল) আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় হোটেলের কক্ষভাড়ায় সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ মূল্যছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খাবারের দাম ৫০ শতাংশ কমানোর ঘোষণাও এসেছে। দিবস ঘিরে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বসছে পর্যটন মেলা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির আয়োজনে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হবে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভ্যাল। গতকাল রোববার দুপুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে, সৈকতে যাওয়ার প্রবেশমুখের খোলা জায়গায় তৈরি হচ্ছে বিশাল মঞ্চ। মঞ্চের বিপরীতে পাকা সড়কের দুই পাশে তৈরি হচ্ছে দুই শতাধিক স্টল।
গত জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একাধিক নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ–ছয় ফুট বেড়ে উপকূলে আঘাত হানে। তাতে লাবণী পয়েন্টের দুই কিলোমিটার সৈকত ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। উপকূল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) প্রায় ২৫০ মিটার বালুভর্তি জিও টিউবের বাঁধ নির্মাণ করে।
তাতেও কাজ না হলে বালুচরে আড়াআড়িভাবে পাঁচ-ছয়টি বালুভর্তি জিও টিউব বাঁধ দেওয়া হয়। তাতে নিরবচ্ছিন্ন সৈকতের বালুচর খণ্ডবিখণ্ড হয়ে পড়েছে। সৈকত ভাঙনের কারণে এবার বিচ কার্নিভ্যাল ও পর্যটন মেলা হচ্ছে সড়কের ওপর।
এই আয়োজনের তত্ত্বাবধান করছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, দেশের পর্যটনের নেতৃত্বে রয়েছে কক্সবাজার। তাই কক্সবাজারকে ব্র্যান্ডিং করতে সপ্তাহজুড়ে এই আয়োজন। উৎসব চলাকালে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস, কটেজের কক্ষভাড়ায় ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। শহরের সব রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম ৫০ শতাংশ কমানো হবে। সমুদ্রের গভীর জলরাশি ঘুরে আসার দ্রুতগতির জলযান ‘ওয়াটার বাইক’ জেডস্কি এবং সৈকতের বালুচরে দৌড়ঝাঁপের যান বিচ বাইকের ঘণ্টাপ্রতি ভাড়ায় ২০ শতাংশ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ভাড়ায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।