নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিকে কর অবকাশসুবিধা দেওয়া হয়েছে। উৎপাদনের তারিখ থেকে পরবর্তী ১০ বছর বিভিন্ন হারে কর অবকাশসুবিধা পাবে ওই সব কোম্পানি। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এ আদেশে সই করেন।
কর অবকাশসুবিধা পেতে কোম্পানিগুলোকে শর্তও পূরণ করতে হবে। এই শর্ত হচ্ছে—এই ধরনের কর সুবিধা পেতে ওই সব কোম্পানিকে ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে যেতে হবে।
এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার প্রথম পাঁচ বছর পর্যন্ত শতভাগ; পরের তিন বছর ৫০ শতাংশ এবং পরের দুই বছর ২৫ শতাংশ হারে কর অব্যাহতি বা কর অবকাশসুবিধা পাওয়া যাবে। এই আদেশ ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। আর এই সুবিধা পেতে হলে বেসরকারি খাতের পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশের আওতায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা (বিল্ড অন অপারেট বা বিওটি) করতে হবে।
বর্তমানে নানা খাতে কর অবকাশসুবিধা আছে। এই তালিকায় আছে—কৃষি যন্ত্রপাতি, অটোমেটিক ইট, অটোমোবাইল, বাইসাইকেল, আসবাব, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, এলইডি টিভি, ফ্রিজের মতো গৃহস্থালি পণ্য, খেলনা, মুঠোফোন, ওষুধ, টায়ার, বস্ত্র খাতের যন্ত্রপাতি।
বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন ধরনের সেবাও কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছে। এর মধ্যে আছে—সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন কাস্টমাইজেশন, ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল অ্যানিমেশন ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট সার্ভিস, ওভারসিজ মেডিকেল ট্রান্সমিশন সার্ভিস, কল সেন্টার সার্ভিস প্রভৃতি। এ ছাড়া কিছু বড় অবকাঠামো নির্মাণেও কর অবকাশসুবিধা রয়েছে।