কাঁচা কলা রপ্তানি হচ্ছে মালয়েশিয়ায়

রপ্তানির জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার আগে কাঁচা কলা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সঙ্গনিরোধ রোগতত্ত্ববিদ সৈয়দ মুনিরুল হক
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে এবার কাঁচা কলা রপ্তানি হচ্ছে মালয়েশিয়ায়। প্রায় সাড়ে চার হাজার কেজি চালানের কাঁচা কলা আজ শুক্রবার বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই চালানটি রপ্তানির জন্য উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র থেকে সনদ নিয়েছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এর আগে পাকা কলা রপ্তানি হওয়ার তথ্য রয়েছে। কাঁচা কলা রপ্তানির খবর জানা যায়নি। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সঙ্গনিরোধ রোগতত্ত্ববিদ সৈয়দ মুনিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সমুদ্রবন্দর দিয়ে এবারই প্রথম কাঁচা কলা রপ্তানি হচ্ছে।

এই কাঁচা কলা রপ্তানি করছে চট্টগ্রামের সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল। রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ থেকে এই কাঁচাকলা সংগ্রহ করা হয়েছে। চালানটির রপ্তানিমূল্য প্রায় পাঁচ হাজার ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ পাকা কলা রপ্তানি হয়েছে ২০১৬–১৭ অর্থবছরে। রপ্তানি মূল্য ছিল ৬ হাজার ২৮০ ডলার। এর আগে ২০১২ সালে পোল্যান্ডে প্রায় ২০ হাজার কেজি পাকা সাগর কলা রপ্তানি হয়েছিল। সব মিলিয়ে ২০১২–১৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৯১৪ ডলারের কলা রপ্তানি হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই দেশের সিংগভাগ আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়

বাংলাদেশে কলার উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০২১–২২ অর্থবছরে ৮ লাখ ২৬ হাজার টন পাকা কলা উৎপাদিত হয়। পাঁচ বছর আগে ২০১৬–১৭ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল আট লাখ সাত হাজার টন।

বিশ্ববাজারে কলার কদর কম নয়। বাজার গবেষণাকারী সংস্থাগুলোর হিসাবে, ২০২১ সালে বিশ্বে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের কলা রপ্তানি হয়। ইকুয়েডর, ফিলিপাইন, কোস্টারিকা ও কলম্বিয়া শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ। আর যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও বেলজিয়াম শীর্ষ আমদানিকারক দেশ।