চীনসহ পাঁচ দেশ থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনা হচ্ছে। এসব দেশ থেকে মোট ১৬ লাখ ৮০ হাজার টন জ্বালানি তেল ১২ হাজার ৮৫১ কোটি টাকায় আমদানি করা হবে। চীন ছাড়া অন্য যেসব দেশ থেকে জ্বালানি তেল কেনা হবে সেগুলো হলো থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। তেল কেনা হবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আজ বুধবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পাঁচ দেশের ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জ্বালানি তেল কেনা হবে। এর মধ্যে চীনের রয়েছে দুটি—পেট্রোচিনা চীন ও ইউনিপেক চীন। এ ছাড়া অন্য চার দেশের চারটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে পিটিটিটি থাইল্যান্ড, ইএনওসি আরব আমিরাত, বিএসপি ইন্দোনেশিয়া ও পিটিএলসিএল মালয়েশিয়া।
প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য। এ জন্য প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
সাঈদ মাহমুদ খান আরও জানান, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সংক্রান্ত কার্যক্রমে সহায়তাবিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এটি হচ্ছে আইনগত পরামর্শক হিসেবে নিয়োজিত মিস্টার ওয়েস্ট জুনিয়রকে সংশোধন-১ বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব।