১৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে টিসিবি

সয়াবিন তেল
ছবি: সংগৃহীত

দেশীয় তিন কোম্পানি থেকে প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা দরে মোট ১৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ তেল কিনতে খরচ হবে ৩০৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আবদুল বারিক জানান, সিটি এডিবল অয়েল, মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি এবং সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৫ লাখ লিটার করে সয়াবিন তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা করে মোট ৩০৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তিন কোম্পানির কাছ থেকেই ১৮৫ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল কেনা হবে বলে জানান আবদুল বারিক। দুই লিটারের বোতলে এই তেল কেনা হবে।

এদিকে ৬৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মরক্কো ও কাতার থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি ও ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা এবং আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ৪৮৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ঘোড়াউতরা নদী ও জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর দুটি সেতুর নির্মাণকাজের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে ক্রয় কমিটিতে। মিঠামইনের ঘোড়াউতরা নদীর ওপর এক হাজার দুই মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এতে ব্যয় হবে ১৪৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ সেতুর নির্মাণকাজ পাচ্ছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। আর জামালপুরের সদর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর হবে ৬০৬ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু। চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ এবং রিস্ট্রাকচার লিমিটেড এ সেতু নির্মাণের কাজ করবে। চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ ১০৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ও রিস্ট্রাকচার লিমিটেড ১৪৫ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার কাজ করবে।

ক্রয় কমিটির বৈঠকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। সেখানে দুটি প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। আবদুল বারিক জানান, ‘ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ’–এর কাজ এবং কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলাধীন নির্মিতব্য ‘মিঠামইন সেনা স্থাপনার ভূমি সমতল উঁচুকরণ, ওয়েভ প্রোটেকশন ও তীর প্রতিরক্ষা কাজ’ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিএমপি) করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।