এনবিআর

এখন রিটার্ন দেওয়া যাবে যেভাবে

বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় শেষ হয়ে গেছে। অনেকেই হয়তো নানা অসুবিধার কারণে রিটার্ন দিতে পারেননি। তবে তাঁদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এরপরও রিটার্ন দেওয়া যাবে। আবার যাঁরা জীবনে কোনো দিন রিটার্ন দেননি, কিন্তু কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিয়েছেন, তাঁরাও এখন রিটার্ন দিতে পারবেন।

গত ৩০ নভেম্বর ছিল নিয়মিত রিটার্ন দেওয়ার শেষ সময়। অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় সেই সীমা বাড়িয়ে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ২৮ লাখ করদাতা রিটার্ন দিয়েছেন। বাকি ৪৬ লাখ করদাতা রিটার্ন দেননি। যদিও দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সব টিআইএনধারীর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক।
নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন দিতে না পারলে আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সময় নেওয়া যায়। অবশ্য সে জন্য করদাতাকে করের ওপর সুদ ও জরিমানা গুনতে হবে।

আয়কর অধ্যাদেশের ৭৫ ধারায় সময় বৃদ্ধির সুযোগ রাখা হয়েছে। যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হলে কর কমিশনার নিজ ক্ষমতাবলে সর্বোচ্চ দুই মাস সময় বাড়াতে পারবেন। কেউ যদি ওই দুই মাসের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে না পারেন, তবে আবারও সময় বাড়ানোর আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট উপ–কর কমিশনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়ে সময় আরও দুই মাস বাড়াতে পারবেন। সব মিলিয়ে একজন করদাতা সর্বোচ্চ চার মাস পর্যন্ত সময় পেতে পারেন।

আয়কর অধ্যাদেশের ৭৩ (এ) ধারায় ওই করের টাকার ওপর সুদ আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, করদাতার ওপর যে কর নির্ধারিত হবে, সেই করের ওপর প্রতি মাসে ২ শতাংশ সরল সুদ বসবে। অর্থাৎ কোনো করদাতার যদি এক লাখ টাকা কর নির্ধারিত হয়, তবে এক মাসের জন্য ওই করদাতার সুদের টাকার পরিমাণ হবে ২ হাজার টাকা। ওই করদাতা দুই মাস সময় নিলে ৪ হাজার টাকা সুদ দিতে হবে।
ধরা যাক, কেউ বিশেষ প্রয়োজনে ১০ বছর আগে টিআইএন নিয়েছেন। কিন্তু হয়রানির ভয়ে কিংবা অন্য কারণে কখনো রিটার্ন দেননি। এ বছর বাজেটে এমন করদাতাদের জন্য বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই তাঁরা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তবে এ সুযোগ শুধু চলতি অর্থবছরের জন্য।