শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের চেয়ে রাস্তাঘাট ও বিদ্যুতে অগ্রাধিকার বেশি। আবার
শিক্ষা-স্বাস্থ্যের বরাদ্দে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ভবন নির্মাণ।
করোনা মহামারির কারণে দেশের শিক্ষা খাতে বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার ওই মহামারির সময়ই স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছিল। কিন্তু এরপরও বাজেটে এই দুটি খাত প্রত্যাশিত মনোযোগ পাচ্ছে না। টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও বাজেট এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় এই দুই খাতে বরাদ্দ খুব একটা বাড়ছে না। কোভিডের আগের ধারাবাহিকতায় বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত অনেকটা অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। আগামী বাজেটেও এর ব্যতিক্রম হওয়ার ইঙ্গিত নেই।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, পৃথিবীর যে ১০টি দেশ অর্থনীতির আকারের তুলনায় শিক্ষা খাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেয়, বাংলাদেশ তার একটি। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে একজন বাংলাদেশির বছরে ৮৮ ডলার খরচ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে মাথাপিছু খরচ হয় ৫৮ ডলার, যার বড় অংশই নাগরিকেরা নিজেরা সংস্থান করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের শুধু শিক্ষা খাতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ থাকবে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। এসব বরাদ্দ সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে।
গত পাঁচ বছরের বাজেট বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ সময় শিক্ষা খাতের বরাদ্দ বাজেটের ১২ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ ৫ শতাংশের আশপাশে ছিল। অন্যদিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতের শিক্ষা খাতের বরাদ্দ ২ শতাংশের মতো, আর স্বাস্থ্য খাতে তা ১ শতাংশের মতো।
বাজেটের শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত একসঙ্গে দেখানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের শুধু শিক্ষা খাতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ থাকবে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। এসব বরাদ্দ সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে।
শিক্ষা খাতের পরিচালন বরাদ্দ দিয়ে মূলত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মেটানো হয়। উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়ে স্কুল, কলেজ ভবন ও মানবসম্পদ উন্নয়নে খরচ করার কথা। কিন্তু এ খাতে ভবন নির্মাণেই বেশি আগ্রহ দেখা যায়। একই অবস্থা স্বাস্থ্য খাতেও।
পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের বিদেশি প্রকৌশলী আনতে হয়েছে। কিন্তু দেশেই দক্ষ ও সময়োপযোগী মানবসম্পদ তৈরি করতে ধারালো পদক্ষেপ দেখছি না।সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
উন্নয়ন খাতের বরাদ্দে অবশ্য সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের চেয়ে রাস্তাঘাট, জ্বালানি খাতকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) শীর্ষ তিনটি খাতের মধ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত নেই। বরাদ্দ পাওয়ার বিবেচনায় শীর্ষ তিন খাত হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ। এই তিন খাতই এডিপির প্রায় ৪০ শতাংশ বরাদ্দ পাচ্ছে। কারণ, জনতুষ্টির এসব প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন সহজে দৃশ্যমান হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
অন্যদিকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত সব মিলিয়ে পাচ্ছে এডিপির ২০ শতাংশের কম। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এডিপির আকার প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যেখানে বিনিয়োগ করলে লাভের ভাগ বেশি হবে, সেখানেই বিনিয়োগ করা দরকার। তাই বাজেটে প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত। শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে না পারায় বিদেশ থেকে জনবল আনতে হচ্ছে। শিক্ষিতদের মধ্যে বেকার বেশি। দেশে অনেক এমবিএ ডিগ্রিধারী আছেন, কিন্তু ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে লোক আনতে হচ্ছে। তাঁরা বছরে ৬০০ কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছেন, যা দেশের প্রবাসী আয়ের চার ভাগের এক ভাগের সমান।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের বিদেশি প্রকৌশলী আনতে হয়েছে। কিন্তু দেশেই দক্ষ ও সময়োপযোগী মানবসম্পদ তৈরি করতে ধারালো পদক্ষেপ দেখছি না।’
তলানির ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় কোন দেশ শিক্ষা খাতে কত খরচ করে, এর হিসাব দেওয়া আছে বিশ্বব্যাংকের তথ্যভান্ডারে। সেখানে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাংকের ১৮৯টি সদস্যদেশের মধ্যে জিডিপির অনুপাতে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে কম খরচ করে, এমন ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে, বাংলাদেশ শিক্ষা খাতে জিডিপির ২ শতাংশ খরচ করে।
বাংলাদেশের পেছনে আছে বারমুডা, হাইতি, মৌরিতানিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, মোনাকো, পাপুয়া নিউগিনি, সোমালিয়া ও দক্ষিণ সুদান। এসব দেশের বেশির ভাগই অতি দারিদ্র্য হিসেবে পরিচিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জিডিপির অনুপাতে শিক্ষায় বরাদ্দ অন্তত ৬ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন। তা করতে হলে বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ দিতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে বেশি জোর দিতে হবে।
৫৮ প্রকল্পের ৫৫টি ভবন নির্মাণের
চলতি অর্থবছরের এডিপিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৫৮টি প্রকল্প আছে। এসব প্রকল্প বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৫৫টি প্রকল্পই ভবন নির্মাণসংক্রান্ত। স্কুল, কলেজ ভবন, স্কাউট ভবন, একাডেমিক ভবন, ভবনের সৌন্দর্যবর্ধনেই উন্নয়ন খাতের বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের সাতটি প্রকল্পের মধ্যে চারটি প্রকল্পই ভবন নির্মাণের। শিক্ষার মানোন্নয়ন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের জন্য খরচের তেমন প্রস্তাব নেই।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী এডিপিতে শিক্ষা খাতে ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যা মোট এডিপির প্রায় ১২ শতাংশ। অথচ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এ খাতে মোট এডিপির সাড়ে ১৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল।
১২ শতাংশে আটকে আছে বরাদ্দ
গত পাঁচ বছরের বাজেট বরাদ্দ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ টাকার অঙ্কে বাড়লেও বাজেটের অনুপাতে তা ১২ শতাংশের আশপাশে আছে। এর মানে হলো, সরকার এই খাতের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না।
কোভিড শুরুর বছরে অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা, যা ছিল বাজেটের সাড়ে ১১ শতাংশ। এর পরের চার বছরে কখনো এই অংশীদারত্ব সামান্য বেড়েছে, কখনো কমেছে। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ আছে ৮৮ হাজার ১৭২ কোটি টাকা, যা বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশের সমান।
কোভিডের সময় প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরে অনলাইনে ক্লাস হলেও তা খুব বেশি কার্যকর হয়নি। গ্রামের স্কুলগুলোয় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা খুব একটা সম্ভব হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের শিখনঘাটতি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনার সময়ের শিখনঘাটতি পূরণে একটি পুনরুদ্ধার কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সরকার এ ধরনের কোনো উদ্যোগ বা প্রকল্প নেয়নি। ফলে শিক্ষা খাতের পরিস্থিতি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই আছে।
বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি ৩৩ জন শিক্ষার্থীদের বিপরীতে ১ জন শিক্ষক আছেন। মাধ্যমিক পর্যায়ে এই অনুপাত ১: ৩৬। এটি সরকারের লক্ষ্যের কাছাকাছি আছে। এখন প্রয়োজন দক্ষতা উন্নয়নে শিখনপদ্ধতি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। এসবে নজর কম নীতিনির্ধারকদের।
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষা খাতের দুর্বলতা আমরা জানি। কিন্তু বাজেট ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার অজুহাতে শিক্ষা খাতকে পঙ্গু করে রাখতে পারি না। এ জন্য জিডিপির অনুপাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোয় রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতাও দরকার।’
স্বাস্থ্য বাজেট গতানুগতিক
আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দেও বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না। করোনার পর স্বাস্থ্য বাজেট বাড়ানোর বিষয়ে নানা আলোচনা হলেও বাস্তব অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বাজেটের ৫ শতাংশ ও জিডিপির ১ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে স্বাস্থ্য বাজেটের আকার ছিল ২৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা, যা ছিল ওই বাজেটের ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। পরের কয়েক বছর কোভিডের ডামাডোল থাকলেও অগ্রাধিকারে তেমন পরিবর্তন আসেনি। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাজেটের ৫ শতাংশের আশপাশেই ছিল। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে, অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে এডিপির মাত্র ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দ থাকছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২০ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য খাতে মোট এডিপির ১১ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল।
বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে ৫৬টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৮টি হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ধরনের ভবন নির্মাণসংক্রান্ত। বাকিগুলো গবেষণা, দক্ষতা, সেবা স্বয়ংক্রিয় করতে নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের চিত্র
পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের মাথাপিছু চিকিৎসা ব্যয় অনেক কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে একজন মানুষের চিকিৎসা খরচ প্রতিবছরে ৫৮ ডলার। অথচ মাথাপিছু চিকিৎসা খরচ ভারতে ৭৪ ডলার, ভুটানে ১৮০ ডলার, মালদ্বীপে ১০৩৮ ডলার, শ্রীলঙ্কায় ১৬৬ ডলার এবং নেপালে ৬৫ ডলার।
বিশেষজ্ঞরা জানান, স্বাস্থ্য খাতে একজন বাংলাদেশি যত টাকা খরচ করেন, তার দুই-তৃতীয়াংশই (৩৯ ডলার) খরচ করেন নিজের পকেট থেকে। অথচ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে মাথাপিছু চিকিৎসা খরচ অন্তত ৮৮ ডলার হওয়া উচিত।
এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, হাসপাতাল ভবন বানানো হয়, ১০০ শয্যার হাসপাতাল ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু সেই অনুসারে লোকবল নিয়োগ হয় না। ফলে ভবন, যন্ত্রপাতি পড়ে থাকে। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের প্রকল্প নেওয়ার আগে লোকবল নিয়োগের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নীতিনির্ধারকদের অগ্রাধিকারে স্বাস্থ্য খাত নেই। কোভিডের সময়ে খাতটি কিছুটা নজরে এসেছিল। কিন্তু এখন এটি আর নজরে নেই। স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। তবে গতানুগতিক ধারায় বাজেট বৃদ্ধির সুযোগ নেই।’
সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক কার্যক্রম সক্রিয় করার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য জনবল বাড়াতে বিনিয়োগ করতে হবে। দিতে হবে শূন্য পদে লোকবল। কিন্তু সরকার অবকাঠামো নির্মাণে বেশি আগ্রহী। কারণ, এখানে স্বার্থ আছে। সেবায় বিনিয়োগ নেই। উদ্বোধন করা হয় ভবন, সেবা উদ্বোধন করা হয় না।