দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম সহনীয় রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে সরকার। ফলে ১৯ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ নামের এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে প্রায় ১৩১ টন চাল বাংলাদেশে এসেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে এসব চাল বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে বলে আমদানিকারকেরা জানান। এসব চালের মধ্যে আতপ চাল রয়েছে ৫০ টন ৮৫০ কেজি আর সেদ্ধ চাল রয়েছে ৮০ টন।
শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, ভারত থেকে আমদানি করা এসব চালের প্রতি টনের এলসি (ঋণপত্র) মূল্য ছিল ৪৩০ ডলার। পরিবহন ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজি চাল আমদানিতে প্রায় ৫২ টাকা খরচ পড়েছে। এসব চাল পাইকারি বাজারে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে আমদানিকারকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সরকার গত বছরের ৩০ মার্চ থেকে চাল আমদানি বন্ধ রেখেছিল। সে সময় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ক–কর আরোপ করা হয়। পরে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারের পক্ষ থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, চলতি সপ্তাহে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৫ আমদানিকারক প্রায় ৩৫ হাজার টন চাল আমদানির আইপি (আমদানি অনুমতি) পেয়েছেন। ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হয়েছিল।