দেশে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা (নীতিভিত্তিক ঋণ) দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আজ বুধবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, সরকারি বিনিয়োগের কার্যকারিতা, বেসরকারি খাত উন্নয়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে এই অর্থ খরচ করা হবে।
এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক উত্তরণের এই মুহূর্তে এডিবি উন্নয়ন অর্থায়নে এই ঋণ দিচ্ছে। মূলত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা; অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ ও প্রতিযোগীসক্ষম করতে এই অর্থ খরচ করতে হবে। এডিবির এসব কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এখনো কর-জিডিপির অনুপাত ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা বৈশ্বিক তুলনায় কম। এ জন্য এডিবি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সহায়তা করবে।
এডিবি আরও বলছে, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতার উন্নয়ন করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। নীতি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ আছে এমন প্রতিযোগিতাসক্ষম পরিবেশ তৈরি করে বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে। এডিবির এই ঋণ সার্বিকভাবে সরকারের যাবতীয় লজিস্টিক খাতের সংস্কারে নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে, যাতে ব্যবসায়ের খরচ কমে এবং রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আসে। ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে যাবতীয় সরকারি কাজের ধাপগুলো অনলাইনে সম্পন্ন করার ওপর জোর দেয় এডিবি।
উপকূলীয়, হাওরসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এডিবির কাছ থেকে আরও ৪০ কোটি ডলার পেতে পারে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ও কোরিয়ার কাছ থেকে বাজেট সহায়তা পাওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।