হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল

বিমানবন্দর সম্প্রসারণে ৫২ কোটি ডলার দেবে জাপান

বাংলাদেশকে আরও প্রায় ৫২ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে জাপান। বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৫ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে এই ঋণ দেওয়া হবে।

আজ রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাপান সরকারের মধ্যে এ-সংক্রান্ত বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইআরডির পক্ষে এতে সই করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী। জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি বিনিময় নোট এবং জাইকা অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেনটেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। এতে উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইআরডির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইআরডি বলছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণসহ বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ, অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা।

প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। গত নভেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ। ইতিমধ্যে আগের দুই পর্যায়ে জাপানের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণচুক্তি হয়েছে। এবার তৃতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ঋণচুক্তি হলো।

জাপানের দেওয়া এই ঋণের বার্ষিক সুদের হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ, পরামর্শক সেবায় সুদ দশমিক ২০ শতাংশ। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।  

দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য ঋণসহায়তা প্রদান করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লি উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ ও অনুদান সহায়তা দিচ্ছে জাপান। এই পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮৪ কোটি ডলার ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।