বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম ফেব্রিকস ও প্যাকেজিং সামগ্রী তৈরি করবে চীনা প্রতিষ্ঠান মিংডা (বাংলাদেশ) নিউ ম্যাটেরিয়াল কোম্পানি লিমিটেড। এরপর তা রপ্তানি করবে বিভিন্ন দেশে। মিরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপন করা হবে কৃত্রিম তন্তুর কাপড় তৈরির এ কারখানা।
কারখানা স্থাপনে মিংডা (বাংলাদেশ) নিউ ম্যাটেরিয়াল কোম্পানি ৭ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৮২৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে) বিনিয়োগ করবে। আর এখানে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ২ হাজার ৮৩০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের।
এ লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রিন রোডে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) দপ্তরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ ও মিংডা (বাংলাদেশ) নিউ ম্যাটেরিয়াল কোম্পানির পরিচালক হুয়াং শাংওয়েন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং সদস্য মোহাম্মদ ফারুক আলম, নাফিসা বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইমিটেশন সিল্ক কটন, টাইল কটন, নিডল পাঞ্চড কটনসহ বিভিন্ন ধরনের কটন পণ্য তৈরি করবে চীনা কোম্পানি মিংডা। এ ছাড়া জিও টেক্সটাইল, জিও ব্যাগ এবং নন-ওভেন ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম ফেব্রিকস ও প্যাকেজিং সামগ্রী তৈরি করবে কোম্পানিটি।
মিংডার পরিচালক হুয়াং শাংওয়েন জানান, চীনে তাঁদের বেশ কিছু কারখানা রয়েছে। কিন্তু সে দেশে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তাঁরা বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করছেন। পরিবেশ ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে শিগগিরই তাঁরা কারখানা নির্মাণকাজ শুরু করবেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
হুয়াং শাংওয়েন আরও বলেন, ‘আমরা মূলত বিভিন্ন প্রকার আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম সুতা দিয়ে তৈরি কাপড় উৎপাদন করবে। উদ্যোগটি সফল হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করব।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ইপিজেডে কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে বেপজা মূলত তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়। এগুলো হচ্ছে—বৈচিত্র্যময় পণ্য, বিনিয়োগের পরিমাণ ও কর্মসংস্থান। এ হিসেবে মিংডা বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
বেপজা জানিয়েছে, মিরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে মিংডাসহ মোট ২১টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান চুক্তি করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।